বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি কর্মীদের নিয়ে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। জানিয়ে দিল আর্নড লিভ এনক্যাশমেন্ট বাবদ কত টাকা আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে, তা নির্ধারণ করা সরকারেরই অধিকার। তাই যতদিন পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সার্কুলার জারি হচ্ছে, ততদিন ৩০০ দিন পর্যন্ত লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারবেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)।
লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয়টি ফের একবার বিবেচনা করে দেখার জন্য কেরল হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন কেরল কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের অপসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, আয়কর আইন, ১৯৬১-র ১০এএ(২)-এর অধীনে ২০০২ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে মাত্র একটি সংশোধন হয়েছে।
নিজেদের আয়কর বাবদ কেটে নেওয়া অর্থ ফেরানোর দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কেরল সরকারের সমবায় সমিতি কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের অপসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। তারা সকলেই ২০২৩ সালের ১ এপ্রিলের অবসর নিয়েছেন। লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হন।
ওই কর্মীদের আর্জি ছিল, হাইকোর্ট যেন এই বিষয়ে কেরল সরকারকে পুনর্বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দিক আদালত। ওই অপসরপ্রাপ্ত কর্মীদের যুক্তি ছিল, লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের বিষয়ে ১৯৬১-র ১০এএ(২)-এর অধীনে ২০০২ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে মাত্র একটি সংশোধন হয়েছে। দীর্ঘ l ২১ বছর পরে ২০২৩ সালে শেষে সংশোধন করা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনবার পে স্কেল বদল হয়। পে স্কেল পরিবর্তনের সাথে লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা পরিবর্তনের আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ দিনেই ৫৬০টি অভিযোগ! ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য
গত বছর লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ লাখ করা হয়েছে। এর আগে অবসর নেওয়া সরকারি কর্মীরা লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে মাত্র ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় পেয়েছেন। ২০২৩ সালের আগে লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপরে যে আয়কর তারা দিয়েছেন তা ফেরত চাইতেই আদালতে যান ওই অপসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। যদিও আবেদনকারীদের আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র অধিকার সরকারের।