বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্ষণের অভিযোগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঠগড়ায় থাকে পুরুষরাই। কিন্তু একজন মহিলাও কি একই অপরাধে অপরাধী হতে পারে? একজন মহিলাও কি ধর্ষক হতে পারে? বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে (High Court) একটি ধর্ষণকাণ্ডের মামলা উঠেছিল। ওই মামলাতেই বিচারপতি প্রমোদ আগরওয়াল ও বিচারপতি প্রশান্ত গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল এমনই একটি প্রশ্ন। সেখানেই পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘মহিলারা ধর্ষণ করতে পারেন না। তবে ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে তাঁদের অভিযুক্ত করা যেতেই পারে।’
হাই কোর্টের (High Court) মন্তব্যে তোলপাড়
২০২২ সালের ওই ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত একজন মহিলা। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, অভিযুক্ত যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই যুবক কখনও নিজের বাড়িতে আবার কখনও হোটেলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আর এই ঘটনায় যুবকের মা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে উঠছে তাকে সাহায্য করার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ঘুচবে বদনাম! এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধির আশায় রাজ্য
তরুণীর দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রেমিক, ছাড়াও তাঁর মা এবং ভাই-এর বিরুদ্ধেও ধর্ষণ, একই মহিলাকে বার বার ধর্ষণ, খুন বা গুরুতর আঘাতের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে (High Court) এই মামলার শুনানি ছিল।
অভিযুক্ত যুবকের মায়ের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে, বিচারপতি প্রমোদকুমার আগরওয়াল মন্তব্য করেন, ‘মহিলারা ধর্ষণ করতে পারেন না।’ তবে একইসাথে পর্যবেক্ষণে বলা হয়,’একজন মহিলা ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত হতে পারেন।’ এরপরেই এদিন এই মামলায় অভিযুক্তের মা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ৩৭৬ ধারা সরিয়ে দেন বিচারক।