অবশেষে! সরকারি কর্মীর পক্ষে বিরাট রায় হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজ অফিস আর বাড়ি। এই করেই দিন শেষ। মাঝের এত জার্নি। ক্লান্ত শরীর। এর মধ্যে কাজের সময় অফিসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কল্যাণ কর্ণাটক সড়ক পরিবহণ সংস্থার (কেকেআরটিসি) এক কর্মী (Government Employee)। কাজের জায়গায় ঘুম? তড়িঘড়ি সেই কর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল অফিস। এরপরই মামলা হয় হাইকোর্টে (High Court)। উচ্চ আদালত রায়ে জানাল, ঘুম অধিকার। কোনো ভুল নয়।

সরকারি কর্মীর পক্ষেই রায়-Government Employee

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনায় কর্মীর কোনও ভুল নেই।এরই সঙ্গে সব কর্মীর ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সে’র বিষয়টি মনে করিয়ে দেয় হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, অফিসে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় টানা ৬০ দিন ধরে কোনও ছুটি না নিয়ে কাজ করছিলেন ওই কর্মী। নাম চন্দ্রশেখর। কেকেআরটিসি ওই কনস্টেবল প্রতিদিন ডবল শিফট (১৬ ঘণ্টা) কাজ করছিলেন।

মানুষের শরীর তো! এত কাজের চাপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল শরীর। এই আবহে তিনি এর মাঝে একদিন কাজের সময় অফিসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এদিকে তার ঘুমের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছিল। যার জেরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এরপরই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।

মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মীর ওপরে যে অতিরিক্ত কাজের চাপ ছিল, তা সংস্থা মেনে নিয়েছে। এই আবহে মামলাকারীর অর্থাৎ ওই কর্মীর কোনো দোষ নেই বলে পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি। সাসপেনশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Govt 1

আরও পড়ুন: গুরুতর জখম! যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে কীভাবে পড়লেন ইন্দ্রানুজ? মুখ খুললেন পড়ুয়া

বিচারপতি জানান, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের অংশ ভারত। এই দেশে সপ্তাহে সর্বাধিক ৪৮ ঘণ্টা কাজ করার বিধান আছে। দৈনিক শিফট ৮ ঘণ্টার বেশি কখনই হতে পারে না। শুধুমাত্র বিশেষ জরুরি ক্ষেত্রে এর বদল হতে পারে।’ বিচারপতি আরও বলেন, ওই কর্মী যদি একটি শিফটের জন্যে নিযুক্ত থাকতেন, এবং সেই সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন, তাহলে সেটা তার দোষ হত। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি দোষী নন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর