বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গোটা ভারত (India) জ্বলছে গরমে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ফ্যান, এয়ার কুলার বা এয়ার কন্ডিশন। তবে এসব যন্ত্র চালানোর জন্য একমাত্র ভরসা বিদ্যুৎ (Electricity)।
কিন্তু বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে আমাদের মাঝেমধ্যেই পড়তে হয় সমস্যায়। মাত্রাছাড়া বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) দেখে আমাদের অনেকেরই মাথায় হাত পড়ে যায়। একটি তথ্য অনুযায়ী, শক্তি ক্ষেত্রে ২০১৩-২০১৪ থেকে ২০২২-২০২৩ পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ৫০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্রারিক্ত চাহিদার জন্য দেশের একাধিক জায়গায় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ ঘাটতি।
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে ৯.৬০% সুদ! ফিক্সড ডিপোজিট করলেই হয়ে যাবেন মালামাল, টাকা রাখুন এই ৫ ব্যাংকে
২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, গৃহস্থ, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য সেক্টরে সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় মহারাষ্ট্রে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পর রয়েছে যথাক্রমে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশা। শুধু ব্যবহারের নিরিখ নয়, বিদ্যুতের দামের নিরিখেও তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
ব্যাংক বাজারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ডোমেস্টিক বিদ্যুৎ শুল্ক ৮.৮০ টাকা প্রতি ইউনিট। ভারতের অন্যান্য যে রাজ্যগুলিতে বিদ্যুতের শুল্ক সবথেকে বেশি সেগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ৷ এছাড়াও, নন-ডোমেস্টিক বিদ্যুতের শুল্কও সব থেকে বেশি রয়েছে মহারাষ্ট্রে।