বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই চারদিকে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। বলা হয় এবছর উচ্চ-মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাপক সহজ এসেছে। রিপিট করা হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে কলকাতার হিন্দু স্কুলের শিক্ষক স্বাগত বিশ্বাস জানিয়েছেন ছোট-বড় একাধিক প্রশ্ন এমনকি উচ্চ-মাধ্যমিকের রচনাও একেবারে সহজ করা হয়েছে। সহজ এসেছে ব্যক্তিনির্ভর প্রবন্ধের প্রশ্নও।
কেমন হল উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন?
প্রসঙ্গত ২০১৫ সাল থেকে কখনও প্রশ্ন রিপিট করেনি উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) শিক্ষা সংসদ। কিন্তু এবছর রিপিট প্রশ্ন এসেছে। তাই যে সমস্ত পড়ুয়ারা ভালোভাবে পাঠ্যবই পড়েছেন এবং টেস্ট পেপার অনুশীলন করেছেন তাঁরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবেন বলেই আশা করা যায়।
প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর হিন্দু স্কুলের বাংলা শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘যারা ভালো করে পাঠ্যবই পড়েছেন এবং ২০১৫ সাল থেকে আসা প্রত্যেক বছরের প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে গিয়েছেন তারা এক দাগের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।’ তিনি কোনো কঠিন প্রশ্ন খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে সাধারণত এই ভাবেই প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। তাছাড়া কয়েকটি প্রশ্ন রিপিট করা হয়েছে। তাই উত্তর দিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল পূর্বাভাস! রাজ্যজুড়ে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন
উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) বাংলা পরীক্ষায় দুয়ের দাগের প্রশ্নও নাকি সহজ এসেছে। তবে এক জায়গায় ভাষাগত কিছু সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন হিন্দু স্কুলের ওই শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, ২.৬ দাগের অথবার একটি প্রশ্নে ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির কাছে কী কী অর্থহীন’-র পরিবর্তে লেখা রয়েছে ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির আছে কী কী অর্থহীন’। ওখানে ‘কাছে’র পরিবর্তে ‘আছে’ থাকায় ভাষাটা একটু জটিল মনে হতে পারে। সম্ভবত প্রশ্নটিতে প্রিন্টিং মিস্টেক রয়েছে। তবে যাঁরা ভালোভাবে কবিতাটা পড়েছেন, তাঁদের এতে কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে অনেকের মতে ভাষাতত্ত্বের প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। হিন্দু স্কুলের বাংলা শিক্ষক এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শুনলাম, আটের দাগের ভাষাতত্ত্বের প্রশ্নগুলির ভাষা বুঝতে অনেকের অসুবিধা হয়েছে। তাই বুঝতে না পেরে অনেকেই দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখে এসেছেন। কিন্তু আসলে খুব সহজ প্রশ্ন।’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন বড় প্রশ্নগুলি যেমন রচনাধর্মী প্রশ্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালিদের অবদান এমনকি দশ দাগের প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত বিকল্প রাখা হয়েছিল।