মাধ্যমিকে ২০, উচ্চমাধ্যমিকে ২! রেজাল্ট শুনেই চোখে জল সৌম্যদীপের বাবা-মার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় নাম ছিল ২০ নম্বরে। তাই উচ্চমাধ্যমিকে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন জোর কদমে। একেবারে ঠিক করে নিয়েছিলেন আরো ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আর এবারের সেই মতোই উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) পরীক্ষার ফল বেরোতেই, রেজাল্ট দেখে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে ?

আলোচনা হচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ সাহাকে নিয়ে। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সৌম্যদীপকে ঘিরে অনেক আশা ছিল শিক্ষকদের। এদিকে সৌম্যদীপের নিজেরও উচ্চ মাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) শীর্ষ কোনও স্থান দখল করার লক্ষ্য ছিল প্রথম থেকেই। ফলে, তার রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকেই সকলেই উচ্ছ্বসিত।

আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন?

সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণার (North 24 Pargana) বারাসাতের বাসিন্দা সৌম্যদীপ। যেহেতু গণিত তার প্রিয় বিষয় সে জন্য ভবিষ্যতে গণিত চর্চা করতেই আগ্রহী তিনি। রাশিবিজ্ঞান (স্ট্যাটিস্টিক) নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সৌম্যদীপ। পড়ার বাঁধাধরা সময় কিছু না থাকলেও দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা পড়তেন সৌম্যদীপ। অবসর সময়ে গল্পের বই, আবৃত্তি নিয়েই সময় কেটে যায় এই কৃতির।

আরোও পড়ুন : ঠাকুর নয়! রবীন্দ্রনাথের আসল পদবী ছিল অন্য! অবাক লাগছে? জানুন, কবিগুরুর সেই অজানা সত্য

সৌম্যদীপের কথায়, ‘‘মাধ্যমিকের সময় ভাবিনি কখনও, কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই আমার একটাই টার্গেট ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে র‍্যাঙ্ক করতে হবে। তাই প্রস্তুতিও সেই মতোই নিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি আমার এই ফলাফলে।’’ পাশাপাশি এই কৃতি আরোও জানিয়েছেন, স্কুলের নিয়ম অনুসারে মোবাইল ফোন সঙ্গে না থাকায় পড়াশোনার প্রতি আরও বেশি করে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

1715170916 untitled design 2

বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়ার সৌম্যদীপের সংযোজন, ‘‘বাবা-মা খুবই খুশি। প্রথম যখন জানতে পারলেন কেঁদে ফেলেছিলেন দু’জনেই।’’ সৌম্যদীপের এই ফলাফলে তাঁর স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ বলেন, ‘‘সৌম্যদীপ সব সময়ই একটু গম্ভীর প্রকৃতির। আমরা আশা করেছিলাম ওর ফল ভাল হবে। কারণ প্রথম থেকেই খুব সিরিয়াস ভাবেই ও পড়াশোনা করেছে।’’

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর