কর্ণাটকের পর এবার বাংলাদেশ! নোয়াখালীর স্কুলে হিজাব পরে ছাত্রীদের ঢোকা নিষিদ্ধ করল কর্তৃপক্ষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের রেশ আমাদের দেশে এখনো বিদ্যমান। কর্ণাটকের একটি কলেজে হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ছাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিতর্ক শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গিয়ে পৌঁছায় এবং তাদের রায়দানের পরেও বিতর্ক যে এখনো বাসা বেঁধে চলেছে, তা বলা যায়। এবার এই বিতর্ক গড়ালো সুদূর বাংলাদেশে।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবকে কেন্দ্র করে এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নোয়াখালীতে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দ্বারা পেশ করা নোটিশে বলা হয়, বিদ্যালয়ের ভেতর কেউ তাদের মুখ ঢাকতে পারবে না। যদিও পরে এই নোটিশটি কর্তৃপক্ষ দ্বারা সরিয়ে নেওয়া হলেও বিতর্ক থামতে চায় না এবং ঘটনাটি ঘটার প্রায় দুই সপ্তাহ পরেও এখনো প্রতিবাদ চালাচ্ছে একদল মানুষ। বিদ্যালয়ের সামনে তারা একাধিকবার বিক্ষোভ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, একটি ভ্রান্ত ধারণাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে এ বিতর্ক। তবে তাদের এসকল কথা শুনতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় এক পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, আসলে স্থানীয় এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ তাদের মুখ ঢেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছিল। ফলে বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করা স্টুডেন্টরা আদেও সেখানকার নাকি বহিরাগত, কেউ তা বুঝে উঠতে পারছিল না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই কারণে আদেশ দেয় যে কেউ মুখ ঢেকে রাখবে না, তাহলে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে আসল স্টুডেন্টদের। সেই নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে এই বিতর্ক।

তসলিমা নাসরিন একটি টুইট করে যা জানান তার অর্থ এই যে, নোয়াখালীর sher-e-bangla স্কুলের হেডমাস্টার মোজাম্মেল হোসেন ক্লাসের ভিতর বোরখা নিষিদ্ধ করেন এবং এর প্রতিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। হেডমাস্টার জানান যে, বহিরাগতদের ক্লাসে বোরখা পরে ঢোকা থেকে বিরত রাখার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর