বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, ভারতের রাজ্য রাজনীতিতে হিজাব বিতর্কটি যে একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলা বাহুল্য। কর্নাটকের শিক্ষাপ্রাঙ্গন থেকে শুরু হওয়া এই হিজাব বিতর্ক গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি বেশি। আর তারপর থেকেই একের পর এক বিক্ষোভ আন্দোলন এবং হাইকোর্টে সেই বিতর্কের বিচার চলার মধ্য দিয়ে জল যে অনেক দূর গড়িয়েছে তা বলা যায়। আর এবার তার মাঝেই হাইকোর্টের রায়ে সেই বিতর্ক কমবে না বাড়বে তা নিয়ে সন্দিহান গোটা দেশ। আজ কর্ণাটক হাইকোর্ট হিজাব মামলা নিয়ে রায় দেয়। যেখানে হাইকোর্ট হিজাব নিয়ে দায়ের করা সব আবেদন খারিজ করেছে। কর্ণাটক হাইকোর্ট এ-ও বলেছে যে, হিজাব ধর্মের অপরিহার্য অঙ্গ নয়।
মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন শুনানির জন্য কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তী, বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জে এম কাজীর একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই মেয়েদের দাবি ছিলো, তাদের ক্লাসে স্কুল পোশাকের সাথে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে শুরু হওয়া এই বিতর্ক প্রথমে হিজাব নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে জয় শ্রী রাম স্লোগান থেকে শুরু করে একাধিক বিক্ষোভে রাজনীতির মঞ্চ হয়ে ওঠে এই বিতর্ক। আর তারপরেই, হাইকোর্টে করা মামলায় শুনানি চলতে থাকে এবং গোটা দেশ তাকিয়ে থাকে এই মামলার রায়ের দিকে।
সূত্রের খবর, 25 ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্টে শুনানি সম্পন্ন হয় এবং হাইকোর্ট সিদ্ধান্তটি সংরক্ষণ করে। কর্ণাটক হাইকোর্টের একক বেঞ্চ হিজাব বিতর্কের বিষয়টি 8 ফেব্রুয়ারি প্রথম শুনানি করে এবং তারপরে 9 ফেব্রুয়ারি একক বেঞ্চ বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠায়। এর পর 10 ফেব্রুয়ারি তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়। আর এবার হাইকোর্টের দ্বারা সব আবেদন খারিজ করার পর বিতর্ক যে আরো ত্বরান্বিত হবে তা স্বীকার করে নিচ্ছে বহু বিশেষজ্ঞ দল।