বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙাল-ঘটি নিয়ে লড়াই চিরকালের। কখনো সেটা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে নিয়ে, আবার কখনো ইলিশ-চিংড়িকে নিয়ে। কিছু কিছু বাঙাল মানুষের কাছে ইলিশ মাছ সর্বশ্রেষ্ঠ। আবার ঘটিদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় চিংড়ি। এমন অনেক মানুষই রয়েছেন যারা ইলিশ-চিংড়ি এই দুই মাছকেই বড্ড পছন্দ করেন।
বাঙালি বাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে ইলিশ (Ilish) বা চিংড়ির (Prawn) পদ থাকা চাইই চাই। এই দুই মাছ দিয়েই রান্না করা যায় বিভিন্ন রকমের জিভে জল আনা পদ। কেউ ভালোবাসেন সরষে ইলিশ, আবার কারোর পছন্দ ডাব চিংড়ি। হোটেল- রেস্টুরেন্টেও আজকাল বিভিন্ন ধরনের পদ রান্না করা হচ্ছে এই দুই মাছ দিয়ে। কিন্তু গুণের দিক থেকে কোন মাছটি সেরা? আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করব।
ইলিশ-চিংড়ি নিয়ে যদি ভাবেন শুধু বাঙাল-ঘটিদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে তাহলে ভুল করবেন। পুষ্টিবিদ বা ডায়েটিশিয়ানরাও এই নিয়ে বিতর্ক করে থাকেন। অনেকের মতে ইলিশ মাছে প্রচুর গুণ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন, কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস, ডায়াবেটিস রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সার ও বিষণ্ণতার মতো রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে ইলিশ মাছ খেলে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে ইলিশ মাছে। এর ফলে ইলিশ মাছ খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ হ্রাস পায়। এই কারণে রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কম হয় ইলিশ মাছ খেলে। তাছাড়াও ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে প্রোটিন থাকে ২২ গ্রাম ও ফ্যাট থাকে ১৯.৫ গ্রাম।
অন্যদিকে ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ প্রোটিন থাকে চিংড়ি মাছে। ওমেগা ৩ থাকে চিংড়ি মাছে। এতে প্রোটিন, আয়রন এবং ফ্যাটও রয়েছে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর চিংড়ি। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণ এই ধরনের খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। অনেকের তাই চিংড়ি মাছ খেলে এলার্জির সম্ভাবনা দেখা যায়। হার্টের রোগীদের চিংড়ি মাছ এড়িয়ে চলা ভালো।