পড়ুয়াদের জন্য এবার ইলিশ, চিংড়ির আয়োজন! বাংলার স্কুলের মিড ডে মিলে নয়া চমক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলের মিড ডে মিলের মেনুতে ইলিশ মাছ। হ্যাঁ, সত্যি। সোয়াবিন,তরকারি, ডিম এখন অতীত। স্কুলে দুপুরের খাওয়ায় মিলছে সুস্বাদু জলের রূপালী শস্য। এই বর্ষায় দুপুরে পাতে ইলিশ মাছ পেয়ে স্বাভাবিকভাবে মুখে হাসি ফুটেছে পড়ুয়াদের। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই ঘটনা কিন্তু বাংলার সব স্কুলে ঘটছে না।

ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়ারাই মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। স্কুলের মিড ডে মিল বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভাত-ডাল-তরকারি অথবা ডিম। মুরগির মাংস পাওয়া যায় বছরে হাতে গোনা কয়েকটা দিনে। আবার কখনো কখনো খবর আসে স্কুলের মিড ডে মিল থেকে উদ্ধার হয়েছে মরা সাপ-ব্যাঙ-টিকটিকি।

আরোও পড়ুন : বরাদ্দ বিপুল অর্থ, পশ্চিমবঙ্গেই তৈরী হচ্ছে পদ্মা জাহাজ বন্দর! বাংলাদেশের সঙ্গে বাড়বে ব্যবসা

এমনকি বহু ক্ষেত্রে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন মিড ডে মিলে অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সব মিলিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্কুলের মিড ডে মিলের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কখনো ভাবতে পারিনি মিড ডে মিলের মেনুতে থাকতে পারে ইলিশ! স্কুলের পড়ুয়াদের কথার মাথায় রেখে প্রধান শিক্ষক প্রায় সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের উদ্যোগ নেন।

আরোও পড়ুন : জনবহুল এলাকার বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিসংযোগ; মৃত্যুর কোলে ৬৩ জন, আহত একাধিক

স্কুল সূত্রে খবর, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকার নির্ধারিত মেনুর বাইরে গিয়ে পরিবর্তন ঘটাতে সচেষ্ট হন। প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে স্কুলের পড়ুয়ারা দুপুরের খাবারের পাতে পেয়েছেন চিলি চিকেন-ফ্রাইড রাইসও! বর্ষার মৌসুমে এই প্রধান শিক্ষক আরো এক কদম এগিয়ে এবার পড়ুয়াদের মুখে তুলে দিলেন এক টুকরো ইলিশ। ইলিশ মাছের পাশাপাশি ছিল চিংড়ি মাছের বন্দোবস্ত।

mid day meal

এক দেখাতে মনে হবে এ যেন বিয়ে বাড়ির ভোজ চলছে। পড়ুয়াদের গলায় কাঁটা যাতে না বেধে যায় তার জন্য ছিল বাগদা চিংড়ির ব্যবস্থা। প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বলেছেন, “ছোটদের কথা ভেবে চিংড়ি মাছের ব্যবস্থা ছিল। ইলিশ মাছ খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা আটকাতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে ইলিশ মাছ ভাজা ও ভাপা ছিল বড় পড়ুয়াদের জন্য।”


Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর