বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও একবার উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sharma) অসম (Assam)। জানা যাচ্ছে, সোমবার নওগাঁও জেলার বটদ্রবা এলাকায় কয়েক হাজার দখলদারদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে অসম প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিতে গোটা অঞ্চলে কয়েক হাজার পুলিস ও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, বেছে বেছে শুধু সংখ্যালঘুদের বাড়িই ভেঙে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বটদ্রবার সরকারি বীজ পাম, হাইডুবি, ভোমোরাগুরি গ্রেজিং রিজার্ভ, জামাই বস্তি, রামপুর, কদমণি এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমি অবৈধ ভাবে দখল করা হয়েছে। এই দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিল। গত অক্টোবর মাসেই বাসিন্দাদের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্কার জানিয়েছে দেন তারা নিজেদের জায়গা ছেড়ে কিছুতেই উঠবেন না। যার জেরে তীব্র সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিপদ বুঝে হিংসাত্মক ঘটনা এড়াতে গোটা অঞ্চলে কয়েক হাজার পুলিস ও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়। চলে মিলিত কুচকাওয়াজও। এলাকাশ নিয়ন্ত্রণ করা হয় যান চলাচলও।
প্রসঙ্গত, বটদ্রবা বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম পীঠস্থান। সেখানকার মন্দিরগুলি হাজার হাজার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আর এই বটদ্রবার অস্থিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। এমন অভিযোগ এর আগে একাধিকবার করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুসলিম প্রধান নওগাঁও জেলায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নিশানায় রয়েছে।এআইইউডিএফ দলের নেতা বদরুদ্দিন আজমলের অভিযোগ শুধুমাত্র হিন্দুত্ববাদের প্রচারের জন্যই এমন করছেন হিমন্ত বলে করেছেন। গত বছর দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটিতে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করা নিয়ে পুলিসের সঙ্গে দখলদারদের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে অসম (Assam)। ওই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকজন পুলিস কর্মীও।