বাংলাহান্ট ডেস্ক : আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া সম্মেলনে অংশ নিয়ে লণ্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর তাঁর সেই বক্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয় তুমুল শোরগোল এবং বিতর্ক। রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার সমালোচনা করতে দেখা যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও। এর পর একে একে তাতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘মিথ্যে বুদ্ধিবৃত্তি তার চূড়ান্ত সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে। অসম কখনওই ভারতের সঙ্গে শান্তিতে আপোস করেনি। গান্ধীজির সমর্থনে গোপীনাথ বর্দোলোইকে আসামকে ভারত মাতার সঙ্গে রাখার জন্য লড়াই করতে হয়েছিল। কারণ নেহেরু ক্যাবিনেট মিশন প্ল্যান অনুসারে পাকিস্তানের কাছে আমাদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। আপনার তথ্যগুলিকে ঠিক করুন শ্রীযুক্ত গান্ধী। মিথ্যে যুক্তিবাদের উচ্চতায় যাবেন না।’
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। তিনি বলেন, ‘তখনকার কূটনীতিকরা পণ্ডিত নেহেরুর নাতির জন্য কলেজ পছন্দ করতে ব্যস্ত ছিলেন।’ এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী আরিয়ান ডি রোজারিওর একটি ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি দাবি করেন যে রাজীব গান্ধীর প্রপিতামহ রাজীব গান্ধীর জন্য কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সুপারিশ করেছিলেন।
পররাষ্ট্র পরিষেবা নিয়ে রাহুলের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘ হ্যাঁ ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা বদলেছে। এটি এখন সরকারের নির্দেশ পালন করে। অন্যদের যুক্তির বিরোধিতা করে। এটাকে অহংকার বলা যাবে না। এই আত্মবিশ্বাস। এটাকে বলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেমব্রিজে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘ভারত রাতারাতি উন্নতি করেনি। আমাদের দেশ নীচে থেকে উপরে উঠে এসেছে কারণ উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অসম, তামিলনাড়ু, সবাই একত্রিত হয়ে কথা বলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য এই রাজ্যগুলির জোটের সঙ্গে কথা বলা জরুরি ছিল। সংবিধান মানুষকে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, আইআইটি, আইআইএম এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।