বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তাল গোটা দেশ। সবায়ের মুখে মুখে শুধু একটাই আলোচনা, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড। নিজের প্রেমিকাকে ৩৫ টুকরো করা আফতাবের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে গুজরাটের নির্বাচনেও (Gujarat Election) পড়ল শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় নির্বাচনী প্রচারে জান আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি দাবি করেন, দেশ সঠিক নেতৃত্বের হাতে না থাকলে প্রত্যেক আফতাবের মতো খুনিরা জন্মাতে পারে।
কচ্ছের জনসভায় এদিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে শক্তিশালী নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। দেশের সুরক্ষার জন্য ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জেতানো অত্যন্ত প্রয়োজন। না হলে প্রত্যেক শহরে আফতাবরা জন্মাবে। আরও অসংখ্য লাভ জিহাদ হবে। আফতাব শ্রদ্ধাকে মুম্বাই থেকে দিল্লি নিয়ে এসে হত্যা করে। ৩৫টি টুকরো করে তার শরীর। তারপর তার শরীর ফ্রিজে রেখে বাড়িতে অন্য মেয়ে নিয়ে আসব। নরেন্দ্র মোদি দেশের সিংহাসনে না থাকলে এই ঘটনা আরও বাড়বে।
সম্প্রতি, দিন ছয়েক আগে কংগ্রেসকে রীতিমতো তোপ দাগেন। তিনি বলেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের পরে অনেকেই এখন বিজেপি-তে যোগ দিতে চাইছেন। সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়াই করে জিততে পারেননি শী থারুর (Shashi Tharoor)। তাঁকে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের অনেকেই এবার দলবদল করতে চাইছেন।’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় কংগ্রেস শিবিরে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে অসমের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে।
এদিকে তাঁকে পালটা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সলমান আনিস সজ (Salman Anees Soz)। টুইট করে তিনি লেখেন, “শশী থারুর ১০৭২ জন প্রতিনিধির ভোট পেয়েছেন। যারা তাঁকে ভোট দিয়েছেন আমিও তাঁদেরই একজন। আমরা এই নির্বাচনে হেরেছি। কিন্তু, আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র জিতেছে। যদি একমাত্র বিজেেি। দল থেকে থাকে, তাহলেও আমি সেখানে যোগ দেব না।” সেই সঙ্গে সলমানের মতে, “আমার মনে হয় বিজোেি দলটি কাপুরুষ এবং সুবিধাজনক লোকে ভর্তি।”