‘কে শাহরুখ খান?’ মাঝরাতে বাদশার ফোন পেয়েই পালটি খেলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘হু ইজ কেকে ম্যান?’ এই একটি প্রশ্ন রাতারাতি জীবন বদলে দিয়েছিল সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর। আর এবার ‘হু ইজ শাহরুখ খান?’ (Shahrukh Khan) প্রশ্ন তুলে চর্চায় উঠে এলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ‘পাঠান’ মুক্তির আগে সে রাজ্যে বজরং দলের বিক্ষোভের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খুবই উদাসীন ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঠানের ব্যাপারে জানেন না, শাহরুখকেও চেনেন না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবির পরেই মধ্যরাতে আসে একটি ফোন। ওপারে স্বয়ং শাহরুখ খান!

আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে শাহরুখ, দীপিকা পাডুকোন এবং জন আব্রাহাম অভিনীত ‘পাঠান’। ছবি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিগত এক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে নানান রাজ্যে। গত শুক্রবার গৌহাটির এক সিনেমা হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বজরং দল। ছবির পোস্টার, কাটআউট ছিঁড়ে কার্যত তাণ্ডব চালায় তারা। ভাইরাল ভিডিওতে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলতেও শোনা যায় তাদের।

pathan gujrat
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল সম্প্রতি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ‘বলিউডের ভাইজান’কে ক্ষমা চাইতে হবে হিন্দুদের কাছে। ছবিতে যে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি দেখা দিয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। নয়তো ছবি রিলিজ করতে দেওয়া হবে না।

বিষয়টা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নির্লিপ্ত ভাবে উত্তর দেন, ‘কেউ যদি থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাহলে আমরা তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেব। আমি এসব পাঠান-ফাঠানের ব্যাপারে জানি না। আমি কখনো শুনিনি, দেখিনি। এসবের জন্য আমার কাছে সময় নেই… কে শাহরুখ খান? আমরা এ নিয়ে চিন্তা করব কেন?’


এরপরেই তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক শাহরুখ খান রয়েছে। ‘ডক্টর বেজবরুয়া’ মুক্তি পাবে, আমাদের ওটা নিয়েও ভাবতে হবে। যারা ছবিটি বানিয়েছে তারাও কিছু বলেনি এ ব্যাপারে। আমি সবার ফোন ধরি, কেন চিন্তা করব?’ সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, যদি শাহরুখ খান ফোন করেন তাহলে তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন।

সেটা যে সত্যি হয়ে যাবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। সেদিন রাত দুটোর সময় তাঁকে ফোন করেন কিং খান। পরের দিনই সুর বদল হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। কী বলেছিলেন শাহরুখ? একটি টুইটে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘বলিউড অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান রাত দুটোর সময়ে আমাকে ফোন করেছিলেন এবং আমাদের কথা হয়েছে। গৌহাটিতে ওঁর ছবির স্ক্রিনিং চলাকালীন একটি ঘটনার ব্যাপারে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আমি ওঁকে নিশ্চিত করি যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত করব এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা যেন না ঘটে’।

X