বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ২ মে। একদিকে পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে কেরল আর অসমে সিপিএম এবং বিজেপি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আর অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ছিল।
তবে সেই জল্পনার অবসান হয় রবিবার। অসমের বিজাপির বিধায়ক দলের বৈঠকে স্থির হয় যে এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হবেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বিজেপির বৈঠক দলে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সর্বানন্দ সোনেয়াল। সোমবার অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
একদা কংগ্রেসের ঘর আলো করা হিমন্ত ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। কংগ্রেসে ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছিল, কিন্তু রাহুল গান্ধী সমেত কংগ্রেসের নেতারা হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারেন নি। এরপরই হিমন্ত যোগ দেন বিজেপিতে। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাত্রই তিনি অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে গেরুয়া শিবিরের প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে অসমের ‘অমিত শাহ” বলেও ডাকা হয়। কারণ ওনার কারণেই উত্তর-পূর্বের সিংহভাগ রাজ্যই এখন বিজেপির দখলে। এবারের অসমের নির্বাচনে কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল না। তখন থেকেই জল্পনা উঠেছিল যে, এবার হয়ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী বদল হতে পারে। তবে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দল অথবা রাজ্যে কোনও ক্ষোভ ছিল না। তবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার জনপ্রিয়তা আর সাংগঠনিক শক্তি সোনেয়ালের থেকে অনেক বেশি থাকায় এবার তিনিই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
অসকের জালুকবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেই কেন্দ্রে ওনার জনপ্রিয়তা এতটাই যে, ওনার সামনে কোনও প্রার্থীই ধোপে টেকেনি। প্রায় সবারই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে সেই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী ২৮ হাজারের কিছু বেশ ভোট পেয়ে জমানত রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি সবারই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জালুকবাড়ি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৬২টি ভোট পান হিমন্ত। শতাংশের নিরিখে তা দাঁড়ায় ৭৭.৩৯ শতাংশ। যা একটা রেকর্ডও বলা যেতে পারে। ওনার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী ১৭.০৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ওনার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা হল ২৮ হাজার ৮৫১।