বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন বিভিন্ন সময়ে প্রশংসিত হয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sharma) বেশকিছু নীতি। তেমনি আবার বেশকিছু মন্তব্যের জন্য বিতর্কেও জড়াতে হয়েছে তাকে। কয়েকদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, আসামে মুসলিম অভিবাসীদের জন্য পরিবার পরিকল্পনা করা একান্ত জরুরী। মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে কামাখ্যা মন্দিরের জমিও দখল হয়ে যেতে পারে। তার এই বিরূপ মন্তব্যের স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সাংবিধানিক পদে থেকে কিভাবে এধরনের মন্তব্য করতে পারেন হিমন্ত তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা।
এবার ফের একবার তার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে পড়ল আসাম সরকার। উত্তরপ্রদেশের মতোই আসামেও ‘লাভ জিহাদ’ (love Jihad) আইন প্রণয়নের ঘোষণা করেছেন হিমন্ত। যদিও তিনি জানিয়েছেন, লাভ জিহাদ শব্দবন্ধনিতে আপত্তি রয়েছে তার। কোন হিন্দু যুবকেরও হিন্দু নারীর সঙ্গে বৈবাহিক প্রতারণা করা উচিত নয়, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাও লাভ জিহাদেরই অংশ হিসেবে বিবেচ্য হবে।
কিন্তু একইসঙ্গে এই আইনের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে তার বক্তব্য ছিল, ”হিন্দুত্বই জীবনের পন্থা। আমি বা অন্য কেউ কীভাবে এটা রুখতে পারে। এটা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। আমরা সকলেই হিন্দুদের উত্তরসূরি। হিন্দুত্ব শুরু হয়েছে আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে। তাই এভাবে এটাকে আটকানো যায় না।”
তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বিরোধী দল এআইইউডিএফের (AIUDF) দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে একাধিকবার হিন্দুত্বের কথা বলে চলেছেন, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করতে চলেছেন তিনি। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কেই টার্গেট করা হবে। কার্যত সাংবিধানিক পদে বসে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা আইনত অপরাধ। কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাসকে আঘাত করলে তার শাস্তিও হতে পারে। এই অস্ত্রেই এবার হিমন্তর বিরুদ্ধে বাণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। এখন আগামী দিনেই বিতর্ক কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।