বাংলা হান্ট ডেস্ক: সারা বছর ধরে বাজারে অনেক রকম ফল পাওয়া গেলেও গরমকাল পড়তেই বাজারে জাঁকিয়ে বসে ফলের রাজা আম। বিশেষ করে জামাইষষ্ঠীর সময় আমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এবছর আর মাত্র ১৫ দিন পরেই পড়েছে জামাইষষ্ঠী। আর এই বিশেষ দিনে বাংলার জামাইদের পাতে কিন্তু রসে ভরা এই হিমসাগরথাকা চাই-ই চাই ।
কিন্তু এবছর এমনিতেই রাজ্য জুড়ে আমের ফলন খুবই কম। যার ফলে এবছর জামাইষষ্ঠীতে বাঙালির প্রিয় আম হিমসাগরের অভাব হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলার আম চাষীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমের অভাব কালনাতেও। তার মধ্যে সদ্য বাংলার বুকে তান্ডব চলিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তাই রেমাল আসার আশঙ্কায় আগে থেকেই অনেক আমচা ষিই কোনো ঝুঁকি না নিয়েই আম পেড়ে নিয়েছিলেন।
যার ফলে জামাইষষ্ঠীর সময় বাজারে হিমসাগর আমের অভাব হতে পারে। কমবেশি সকলেই জানেন কালনা মহাকুমার পূর্বস্থলী-২, পূর্বস্থলী-১, এবং কালনা-২ ব্লকে বিঘের পর বিঘে জমি জুড়ে রয়েছে আমের বাগান। সবচেয়ে বেশি আমবাগান রয়েছে,পূর্বস্থলী-২ ব্লকে। তবে আগামীদিনে হিমসাগর আম নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছেন আমচাষীরা।
আরও পড়ুন: জয় বাবা লোকনাথ! এবছর কবে পড়েছে পুজো? জানুন দিনক্ষণ ও শুভ মুহূর্ত
সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেই একজন স্থানীয় আমচাষী সংবাদমাধ্যমে ক্ষতির কথা জানিয়ে বলেছেন এবছর নাকি তিনি ১০০০ গাছ লিজ নিয়েছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগ গাছেই ফল না হওয়ায় আগেই ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তিনি।বর্তমানে বাজারে হিমসাগরের পাইকারি দর ৬০ টাকার মত হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
যার ফলে পরে আগামী দিনে আরও ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু রেমাল আসার ভয়ে আগে থেকে তারা সমস্ত আম পেড়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে জামাইষষ্ঠীর সময় প্রত্যেক বছরই বাজারে আমের চাহিদা বাড়ে। তাই সেভাবে আমের যোগান না থাকায় আমের দাম আরও বাড়তে পারে। তাই এবছর জামাইদের পাতে হিমসাগর আম সাজিয়ে দিতে গেলে একটু বেশিই টাকা খরচ হবে শ্বশুরমশাইয়ের।