বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমেরিকান গবেষণা এবং বিনিয়োগ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) ফের আদানি গ্রুপ (Adani Group) সম্পর্কিত একটি বিষয়ে নতুন দাবি করেছে। এবার আমেরিকান শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং তাঁর স্বামীকে আদানির সাথে যুক্ত বৈদেশিক ফান্ডে অংশীদারিত্বের অভিযোগ করেছে। তবে, SEBI চেয়ারপার্সন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এই দাবিগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এইভাবে তাঁর মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, এই বিষয়ে আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
বড় দাবি করল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research):
কি জানিয়েছে আদানি গ্রুপ: জানিয়ে রাখি যে, আদানি গ্রুপ তীব্রভাবে হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg Research) অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এইভাবে মুনাফা লাভের জন্য তাদের দূষিত, দুষ্ট এবং ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে। শনিবার প্রকাশিত হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে যে, ওই আমেরিকান সংস্থাটি চালাকির সাথে এই রিপোর্টে নির্বাচিত কিছু তথ্য নিজস্ব উপায়ে উপস্থাপন করেছে।
পাশাপাশি, আদানি গ্রুপের তরফে এটাও জানানো হয়ে যে, ওই রিপোর্টে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। আদানি গ্রুপ বলেছে যে এই অভিযোগগুলি পূর্বে বদনাম হওয়া হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg Research) দাবির রিসাইক্লিং। যেগুলি ইতিমধ্যেই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। আদানি গ্রুপ আরও বলেছে যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, সুপ্রিম কোর্ট এই অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: এই ৪ টি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই হয়ে যাবেন মালামাল! Fixed Deposit-এ মিলছে বাম্পার রিটার্ন
হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টে কি রয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research) তার সর্বশেষ রিপোর্টে অভিযোগ করেছে, SEBI চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির ফান্ড অপব্যবহার কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত অস্পষ্ট অফশোর ফান্ডে অংশীদারিত্ব রয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, SEBI আশ্চর্যজনকভাবে আদানির মরিশাস এবং অফশোর শেল সংস্থাগুলির কথিত অঘোষিত “জাল ” নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখায়নি। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি অস্পষ্ট অফশোর বারমুডা এবং মরিশাস ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ভুলেও করবেন না এই কাজ! নাহলেই ব্ল্যাকলিস্ট হবে SIM, ১ সেপ্টেম্বর থেকে লাগু কড়া নিয়ম
হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research) অভিযোগ করেছে যে, এই ফান্ডগুলির ব্যবহার ফান্ডের অপব্যবহার করতে এবং গ্রুপের শেয়ারের দাম বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই ধরণের ফান্ড যা বৈদেশিক বাজারে বিনিয়োগ করা হয় থাকে তাকে অফশোর ফান্ড বলা হয়। এগুলিকে বৈদেশিক বা আন্তর্জাতিক ফান্ডও বলা হয়। হিন্ডেনবার্গ তার সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, IIFL-এর একজন প্রধান দ্বারা স্বাক্ষরিত ফান্ডের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, বিনিয়োগের উত্স হল “বেতন” এবং দম্পতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ১ কোটি ডলার। হিন্ডেনবার্গ তার রিপোর্টে আরও বলেছে যে, মাধবী এবং ধবল বুচের সক্রিয়তার মধ্যে, ব্ল্যাকস্টোনের তরফে মাইন্ডস্পেস এবং নেক্সাস সিলেক্ট ট্রাস্টকে স্পনসর করা হয়। যা ছিল ভারতের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ REIT। এই দু’টি সংস্থাই ২০১৯ এবং ২০২০ সালে IPO-র জন্য SEBI-র অনুমোদন পেয়েছিল।