বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানিকে বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন করা আমেরিকান শর্ট সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) এবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। জানিয়ে রাখি যে, ওই এই সংস্থাটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। যেখানে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়।
আচমকাই বন্ধ হল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research):
এদিকে, আদানি গ্রুপ ওই অভিযোগ অস্বীকার করলেও গ্রুপের মার্কেট ক্যাপে ব্যাপক পতন ঘটে। তবে, অ্যান্ডারসন তাঁর কোম্পানিটি বন্ধ করার কারণ প্রকাশ করেননি। এদিকে, এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ফিরে আসছেন। জানিয়ে রাখি যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research), তার শর্ট-সেলিং কার্যক্রমের জন্য কুখ্যাত। তারা আদানি এবং অন্যান্য অনেক বিলিয়নেয়ারের বিশাল ক্ষতি করেছে।
এই কোম্পানির (Hindenburg Research) প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন গত ১৫ জানুয়ারি কোম্পানি বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন। সেখানে তিনি জানান, “আমি গত বছরের শেষের দিকে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আমাদের দলের সাথে ভাগ করেছিলাম যে আমি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” অ্যান্ডারসন আরও জানান, ইনভেস্টিগেটিভ আইডিয়া শেষ হওয়ার পর কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
আরও পড়ুন: ISRO-র হাত ধরে ফের তৈরি ইতিহাস! মহাকাশে “আলিঙ্গন” দুই স্যাটেলাইটের, নজির গড়ল ভারত
বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন আদানি: জানিয়ে রাখি যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) নাম ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভারতে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিল। সেই সময়ে ওই সংস্থা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে ওই গ্রুপটির বিরুদ্ধে শেয়ারের দামে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়। তবে, আদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করলেও গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ার যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিল। যার ফলে আদানির মোট সম্পদেও পতন ঘটে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতের জন্য দুঃসংবাদ! বড়সড় চিন্তার সম্মুখীন টিম ইন্ডিয়া
অ্যান্ডারসনের পরিকল্পনা: এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) বন্ধ করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে, অ্যান্ডারসন জানান, “কোনও নির্দিষ্ট জিনিস নেই – কোনও নির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই, কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা নেই এবং কোনও বড় ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কেউ একবার আমাকে বলেছিলেন যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি সফল কেরিয়ার একটি স্বার্থপর কাজ হয়ে যায়।” তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কেরিয়ারে তাঁকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তিনি তাঁর আর্থিক সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করেছেন। এর পাশাপাশি, অ্যান্ডারসন কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে আরও বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।