বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে যখন থেকে তালিবানরাজ শুরু হয়েছে, তখন থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়রা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম চিন্তিত। হিন্দু হোক আর শিখ সবার মনেই তালিবানিদের আতঙ্ক বিরাজ করছে আর তাঁরা সবাই তালিবানদের রাজত্ব থেকে দূরে পালানোর চেষ্টাও করছে। ভারত, আফগানিস্তানে থাকা হিন্দু আর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের শরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আর এরই মধ্যে তালিবানদের একটি বড় বয়ান সামনে এসেছে।
তালিবানরা জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানে হিন্দু আর শিখরা পুরোপুরি সুরক্ষিত। এই বয়ান তালিবানরা কাবুল গুরুদ্বার কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত করার পর দিয়েছে। তালিবানরা আশ্বস্ত করেছে যে, আফগানিস্তানে হিন্দু আর শিখদের কোনোভাবেই বিরক্ত করা হবে না, আর তাঁদের পূর্ণ নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। তালিবানের সঙ্গে গুরুদ্বার কমিটির হওয়া বৈঠকের একটি ছবি সামনে এসেছে। যেখানে কয়েকজন তালিবান নেতাকে দেখা যাচ্ছে।
বলে দিই, কাবুলে তালিবানদের কবজার পর খবর সামনে এসেছিল যে, কাবুলের গুরুদ্বারে তালিবানের আতঙ্কে ২০০ জন শরণ নিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশীরভাগই হিন্দু আর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল। অনেকেই আবার সেখান থেকে আমেরিকা, কানাডা যাওয়ার মন বানিয়ে নিয়েছিল কারণ তাঁরা তালিবানদের উপর ভরসা করতে পারছিল না।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু আর শিখদের মনে তালিবানের আতঙ্ক থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ আফগানিস্তানে বছরের পর বছর ধরে হিন্দু আর শিখদের উপর হামলা করে আসছে এই তালিবানরাই। একসময় কাবুলিওয়ালাদের দেশে হিন্দু আর শিখদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বারবার হওয়া হামলা আর সংখ্যালঘুদের হত্যার কারণে তা হাতেগোনায় এসে দাঁড়ায়।
কাবুলের গুরুদ্বারে একাধিকবার তালিবানি জঙ্গিরা হামলা করেছিল। এরফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি হিন্দুদের উপরও ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছিল তাঁরা। আর সেই আতঙ্কে অনেকেই দেশ ছেড়ে ভারত কিম্বা আমেরিকা, কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।