অমিত সরকার: ইলিশ বলতে বাঙালি অজ্ঞান। ইলিশ শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ ইল’ কথার অর্থ জল আর ঈশ’ মানে ঈশ্বর “জলের ঈশ্বরকে” ইলিশ বলা হয়।
“পদ্মা নদীর মাঝি “উপন্যাসের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন- “নৌকার করে জমতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লন্ঠনের আলোয় মাছের আঁশ চকচক করে। নিষ্পলক চোখগুলো স্বচ্ছ নীলাভ মনির মতো দেখায়”
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অপর একটি কবিতা ইলিশ সম্পর্কে বলেছেন,
“ইলশে গুঁড়ি ইলশেগুঁড়ি ইলিশ মাছের ডিম
ইলশেগুঁড়ি ইলশেগুঁড়ি
দিনের বেলায় হিম”
জীমূতবাহন এ ইলিশের গুণাবলীর বিস্তারিত বিবরণ। মানসিংহের এক লোকো কবির কলমে উঠে এসেছে ইলিশের কথা “সেই ইলিশের দাম আইলো সোনার একুশ ভরি মাছ ইলিশা রে”।
মোস্তফা আলী লেখকদের কলমে উঠে এসেছে ভোজনরসিকের কথা তার কথায় আস্ত ইলিশ মাঝ খান দিয়ে কেটে বাটা মশলা দিয়ে কলাপাতায় মরে আগুনে সেকা হয় এই মাঠ দেবভোগ্য তো বটেই এবং এতটাই স্বাস্থ্যকর যে এক আসতো আড়াই তিন কিলো ইলিশ গোটা খেলেও কোনরকম শরীর খারাপ হয় না”
বিবেকানন্দের চিঠিতে উঠে এসেছে ইলিশের প্রসঙ্গ– “পৃথিবীতে এমন জিনিস টি আর হয়না নদীতে ইলিশ উঠেছে দেখছি আর লিখছি ঘরের গায়ের ঢেউ ধাক্কা খেলে উঠছে নিচে শত শত মাছ ধরার নৌকা সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত আমাদের ইলিশ তোমাদের আমেরিকান ইংলিশে বহুগুণে উৎকৃষ্ট”