দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাল বিবাহের মধ্য দিয়ে প্রতারণা করা একটি গ্যাং-এর কুর্কীর্তি প্রকাশ করেছে কালিনজরা থানার পুলিশ। গুজরাটের সুরাট থেকে পুলিশ এই চক্রের তিনজন এজেন্ট, ঘটক এবং কনেকে গ্রেপ্তার করেছে। বিবাহিত মুসলিম যুবতীকে হিন্দু সাজিয়ে যুবকের সাথে বিয়ে দিয়েছিল এই দল।
ভরত প্যাটেল এক যুবক থানায় অভিযোগ করেন, বিয়ে করার জন্য তিনি একজন মেয়েকে খুঁজছিলেন। ৪০ বছরের এই যুবক কল্যাণ কালালের সংস্পর্শে আসেন। তিনিই এই যুবকের সাথে আরতি গুপ্ত নামের এক যুবতীর সাথে বিয়ের সম্মন্ধ করে দেয়। পরবর্তী কালে ঐ যুবক জানতে পারেন, আরতি আসলে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা সেলিমের স্ত্রী। তিনি জানান এভাবে আফরিন, সনি, কল্যাণ আড়াই লাখ টাকা ধরে এবং প্রতারণা করেছে। প্রতিবেদনে 250/2020 মামলাটি নথিভুক্ত করে গবেষণা শুরু করা হয়েছে।
আফরিনের জিজ্ঞাসাবাদ এবং গবেষণা থেকে জানা গেছে যে তিনি একটি গ্যাংয়ের সাথে জড়িত। তারা এইভাবে প্রতারণা করে বিয়ে দেন। সাগর এবং সঞ্জু দরিদ্র ও অভাবী মেয়েদের এই দলে নিয়ে আসে। সনি বিভিন্ন বিবাহের ঘটকের সাথে যোগাযোগ রাখে এবং যদি কোনো ছেলে বিয়ের জন্য টাকা দিতে রাজি থাকেন তবে তারা আত্মীয় সেজে ঐ ছেলের সাথে নিজেদের দলের মেয়েকে বিয়ে দেন।
বিবাহের জন্য তারা ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা। কয়েক দিন পরে, মেয়েটি শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। জাল আধার কার্ড এবং ভুয়ো পরিচয়ের কারনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন শহরের বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা এই অপারেশন চালায় বলে তাদের টিকিও ধরতে পারে না পুলিশ। সাইবার শাখার সাথে যৌথ তদন্তে এই প্রতারকের দলটিকে ধরতে পেরেছে পুলিশ৷ জেরায় নিজেদের কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা৷ অতীতেও তারা গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রতারণা করেছে বলে জানা যাচ্ছে।