এক সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ পাঠ করবেন গীতা! বিরাট উদ্যোগ হিন্দু সংগঠনের, প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বড় ধরনের সামাজিক উদ্যোগ নিচ্ছে হিন্দু সংগঠন। নতুন প্রজন্ম দিশেহারা। একমাত্র গীতাই পারে তাদের সঠিক পথ দেখাতে। এমনই মনে করছে বঙ্গ হিন্দু সংগঠন। আর সেই লক্ষ্যেই কলকাতায় হবে বিরাট গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। কমপক্ষে ১ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে গীতাপাঠ করবে কলকাতায় (Kolkata)। ব্রিগেড ময়দানে হতে চলেছে এই গীতাপাঠের আসর। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) আমন্ত্রণ জানানো হবে বাংলার হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ‘নমামি গঙ্গে’র মূখ্য কর্মকর্তা গোপাল সরকার।

গোপালবাবু জানান, ১৭ ডিসেম্বরের ওই মেগা কর্মসূচী নিয়ে ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে হিন্দু সংগঠনের তরফে। এদিন গীতাপাঠের আসর নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্টানের মহারাজরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওই অনুষ্টানের রূপরেখা কী হবে, মূলত সেসব নিয়েই কথা হয়েছে বৈঠকে।

suvendu geeta

এর আগে, বিধানসভায় বাৎসরিক পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনে গীতার স্তোত্রপাঠ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বিজেপি। প্রশ্ন ওঠে, সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ কেন। ডিসেম্বরের শেষে বিধানসভার উদ্যানে পুষ্প প্রদর্শনীর রেওয়াজ বহু দিনের। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে গীতাপাঠের আসর হয়েছিল এই বছর প্রথম। ওই সময় সাধারণত বড়দিন নিয়ে উদযাপন শুরু হয় কলকাতায়। চলতি বছরে ওই অনুষ্টানকেই বড় আকার দিতে চায় হিন্দু সংগঠন, সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

এদিকে, রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আজ হোক বা কাল হোক বা পরশু, পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সিলেবাসে গীতাপাঠ অন্তর্ভুক্ত হবে৷ আগেও এই বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে তিনি এরকম অনুষ্টান আগেও করেছেন। কলকাতাতেও বড় মাত্রায় ওই অনুষ্টান করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

সম্প্রতি নন্দীগ্রামের এক অনুষ্টানে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘সনাতনী সংস্কৃতিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ আমরা যেন, দুটো কথা গর্ব করে বলতে পারি৷ একটা হল, আমি হিন্দু, আর একটা হল, আমি ভারতীয়৷’ তবে বড়দিনের সময় গীতাপাঠের ওই অনুষ্টানের অনুমতি কলকাতা পুলিস আদৌ দেবে কী না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হিন্দু সংগঠনের ভিতরেই।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর