সংখ্যালঘুদের হুমকির জেরে বন্ধ নাম সংকীর্তন, প্রশাসনের দ্বারস্থ আতঙ্কিত বর্ধমানবাসী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিজের এলাকাতেও হরিনাম সংকীর্তন করার উপায় নেই হিন্দুদের। অবাক করা বিষয় হল, এই ঘটনা পাকিস্তান (Pakistan) বা বাংলাদেশের (Bangladesh) নয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে খোদ বাংলায়। এক তথাকথিত সংখ্যালঘু বিক্রেতার হুমকির জেরে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের পুরনো রীতিতে বাধা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ। পূর্বস্থলী থানার কাষ্ঠশালী বাজার এলাকায় প্রতি বছরই এই সময়টায় কালীপুজো এবং হরিনাম সংকীর্তন হয়ে থাকে। প্রথা মেনে এবছরও শুরু হয় হরিনাম সংকীর্তনের তোড়জোড়। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে এক মূরগী বিক্রেতা (সংখ্যালঘু) ক্রমাগত হরিনাম বন্ধ করার হুমকি দিতে থাকে। বড়সড় অশান্তির আশঙ্কায় হরিনাম বন্ধ করতে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন।

ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে। খবর পৌঁছাতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। সারা রাত পুলিশ পিকেট লাগানো হয় ঐ এলাকায়। দু’পক্ষকে ডেকে মধ্যস্ততা করে পুলিশ। এবং শেষমেষ পূর্বাস্থলী থানার পুলিশের অনুমতিতে ফের একবার হরিনাম সংকীর্তন শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন।

আরও পড়ুন : বিশ্বকাপের আগে ৫ ম্যাচের T20 সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া! প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ

ঘটনা প্রসঙ্গে অপর এক ব্যবসায়ী সুভাষ সর্দার বলেন, ‘হয়তো কারও প্ররোচনায় ওই ব্যক্তি কাষ্ঠশালী বাজার কমিটির হরিনামের অনুষ্ঠান বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই প্রচেষ্টা বানচাল হয়েছে।’ এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই জানাচ্ছে স্থানীয়রা। একই সাথে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ প্রশাসন যেভাবে বিষয়টিকে সামলেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর