বাংলার নির্বাচনে নতুন হিন্দুত্ববাদী দলের এন্ট্রি, বিজেপির রাস্তায় হতে পারে কাঁটা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আর কয়েকমাসের মধ্যে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে। এবছরের লড়াই যে ত্রিমুখী হতে চলেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে শাসক দল তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, তৃণমূল এবার ২২১ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। আরেকদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে বিজেপির জয়ের জন্য ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এছাড়াও কংগ্রেস-সিপিএম এর জোট রাজ্যে ক্ষমতায় আসার দাবি করে চলেছে।

আর এরমধ্যে নির্বাচনকে আরও একটি দলের এন্ট্রি হয়েছে। সবথেকে বড় বিষয় হল, এই দল বিজেপির খেলা বিগড়াতে পারে। উল্লেখ্য, রবিবার বাংলার হিন্দু সংগঠন হিন্দু সংহতি নিজেদের দলের ঘোষণা করেছে। এই সংগঠন নিজেদের রাজনৈতিক দলের নাম ‘জন সংহতি” রেখেছে। হিন্দু সংহতির নজর রাজ্যের হিন্দু ভোটারদের উপর। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁরা রাজ্যে ১৭০ টি আসনে লড়াই করতে পারে।

150586629 10157449328502735 1341590440697816862 n

গতকাল প্রেম দিবস ১৪ ই ফেব্রুয়ারির দিনে হিন্দু সংহতি নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে। আর সেই দিনই তাঁরা রাজ্যে নির্বাচন লড়ার কথাও ঘোষণা করে। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই সংগঠন হিন্দু নেতা তপন ঘোষের হাত ধরে অস্তিত্বে এসেছিল। তপন ঘোষ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক ছিলেন। আর গত বছর তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন।

সবথেকে বড় বিষয় হল, হিন্দু সংহতি নানান ইস্যুতে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। বলে রাখি, ২০১৯ এর নির্বাচনে হিন্দু সংহতি বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন আসতে না আসতেই এই সংগঠন নিজেদের মত বদলে নেয়। আর এখন তাঁরা বিজেপির হিন্দু ভোট ব্যাংকে ফাটল ধরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্য জানান, ‘হিন্দু সংহতি একটি স্বাধীন সংগঠন হিসাবে কাজ করবে। জন সংহতি একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৪০ টি আসন এবং দক্ষিণবঙ্গে ১৩০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।” তিনি জানান, ‘এখনও আমাদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করার কোনও পরিকল্পনা নেই। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিরে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। হিন্দুরা এখন বিজেপির উপর আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না।”

সংগঠনের নেতা আরও বলেন, ‘বিজেপি নাগরিকত্ব আইন আর NRC নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অসম আর ত্রিপুরার অনেক হিন্দু সংগঠনই আমাদের সম্পর্কে আছে। অসমের ডিটেশন ক্যাম্পে হিন্দুরা মারা যাচ্ছে। বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়কে ভোট পাওয়ার জন্য ব্যবহার করছে বিজেপি।”

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর