বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটি বড় ঘোষণায় কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বাসভরাজ বোম্বাই (Basavaraj Bommai) রাজ্যের হিন্দু মন্দিরগুলিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে ধর্মান্তর বিরোধী বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চায় রয়েছে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। আর এখন রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে, আগামী বাজেটে হিন্দু মন্দির সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্বাই বুধবার এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করেছেন।
বর্তমানে যে নিয়ম-কানুন চালু আছে সেটি হল, মন্দিরগুলিকে তাঁদের আয় তাঁদের উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী বোম্বাই নিজেই স্বীকার করেছেন যে, হিন্দু মন্দিরগুলি বর্তমানে বিভিন্ন সরকারী বিধি ও আইনের আওতায় রয়েছে, যার মাধ্যমে তাঁরা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তিনি ঘোষণা করেছেন যে বাজেট অধিবেশনের আগেই হিন্দু মন্দিরগুলিকে এই বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মন্দিরগুলিকে স্বাধীনভাবে পরিচালনার সুবিধা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সিনিয়ররা জানিয়েছেন যে, অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় স্থানগুলি আলাদা আইন অনুসারে সুরক্ষিত এবং তাদের অবাধে পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটকে বিজেপির ২ দিনের বিজেপি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বোম্বাই এই কথাগুলি বলেছেন। তিনি বলেন, ধর্মান্তরবিরোধী বিলটি শুধু আইনেই পরিণত হবে না, এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্সও গঠন করা হবে।
কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেছেন যে, রাজ্যে কংগ্রেস সরকার গঠিত হলে এক মাসের মধ্যে এই ধর্মান্তর বিরোধী আইন বাতিল করা হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বোম্বাই বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না, কারণ কংগ্রেস কখনই ক্ষমতায় আসবে না। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই তাঁর ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে এবং এই আইন একই থাকবে। তিনি বলেন, কোপ্পল জেলায় অবস্থিত অঞ্জনাদ্রি পাহাড় ও মন্দিরের উন্নয়নও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এর উদ্বোধন করবেন।