বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু নির্যাতন চলছেই। এই অত্যাচার পাকিস্তানকে নরকে পরিণত করেছে সংখ্যালঘু মহিলাদের জন্য। হিন্দু মহিলাদের অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সরকারের কাছেও এই বিষয়গুলি রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিন্ধ (Sindh) এলাকায় নিজের বোনের অপহরণের প্রতিবাদ করায় খুন হতে হল এক যুবককে। এবং তাঁর হত্যার বিচার চেয়ে বৃদ্ধা মা ধর্না দিলেন থানার সামনে।
পাকিস্তানের সিন্ধ এলাকায় আরও এক হিন্দু নারীকে অপহরণ করা হল। নিজের বোনের এই দশা মেনে নিতে পারেন নি দাদা। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সেই যুবক। আর সেই ‘স্পর্ধা’-রই মাসুল তাঁকে দিতে হল জীবন। প্রকাশ্য দিবালোকের খুন হতে হল তাঁকে। দুই সন্তানকে হারিয়ে বিদ্ধস্ত বৃদ্ধা মা চক্কর কাটলেন থানার দরজায়। কিন্তু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করল পুলিস। উপায় না দেখে হার কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই ধর্না দিলেন থানার সামনে। নাছোড়বান্দা বৃদ্ধার চাপে পড়েই শেষ পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিস।
I am at a loss for words — the mother whose son was severely beaten and died of his wounds, and her daughter was abducted.
Police refused to file FIR. They have been protesting in the open sky in winte for the FIR.
But the state keeps singing a song Hindus are safe. pic.twitter.com/yaiP6QprDf
— Veengas (@VeengasJ) January 3, 2023
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর লজ্জাজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের অমরকোট জেলার কুন্টী গ্রামে। এখানেই বাস করতেন ৩৫ বছর বয়সী লালু কাছী। গত ২৫ ডিসেম্বর আব্দুল্লা খোসো নামে এক মুসলমান ব্যক্তি লালুর বাড়িতে ঢুকে তাঁর বিবাহিত বোনকে অপহরণ করে। বাধা দেন লালু। বাধা পেয়ে লালুকে বেধড়ক পেটায় আব্দুল্লার লোকজন। মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান লালু। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ১ জানুয়ারি ২০২৩ -এ মারা যায় লালু।
এর আগে নভেম্বর মাসেও আব্দুল্লা জোর করে তুলে নিয়ে যায় লালুর বোনকে। বাড়িতে আটকে রাখে তাঁকে। পরে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়েও করে নেয় আবদুল্লা। লালু পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ২৫ ডিসেম্বর আব্দুল্লার দলবলের হাতে মার খেয়ে প্রাণ ত্যাগ করেন লালু।অশহায় বৃদ্ধা মাকেও ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ওই বৃদ্ধা ধর্না শুরু করলে চাপে পরে অভিযোগ দায়ের করে সিন্ধ পুলিস।