বাংলাদেশে বিপদের মুখে হিন্দুরা! স্পষ্ট হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া মনোভাব, ঘনিয়ে আসছে বড় সঙ্কট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বাংলাদেশ (Bangladesh) সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের প্রধান ধর্মীয় গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেটি একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ইসকনের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় দাসকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চেয়ে উঁচু জাফরান রঙের পতাকা উত্তোলনের জন্য গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর জামিনও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি ছাড়াও হিন্দু সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশে (Bangladesh) বিপদের মুখে হিন্দুরা:

এদিকে, ধর্মের নামে নৃশংসতা ও ভারতে পালিয়ে আসার কারণে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুর সংখ্যা ৭৫ লক্ষ কমেছে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা শুধু হিন্দুদের ওপরই নয়, ভারতের ওপরেও ক্ষুব্ধ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের এই ঘটনায় ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। জবাবে বাংলাদেশ বলেছে যে এটি তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধানে সমতার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্বেও বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক মনোভাব প্রদর্শন করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি-ঘর-মন্দিরে হামলা চালানোর পাশাপাশি সামাজিক বয়কট এবং দুর্গাপূজাতেও ভাঙচুর করা হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সেখানকার হিন্দুদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনও বড় পদক্ষে গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বরং, কট্টরপন্থীদের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠনের পর ভারত বিরোধিতা আরও তীব্র হতে পারে। এছাড়াও, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি আরও জোরদার হবে।

আরও পড়ুন: হাতে আসছে কোটি কোটি টাকা! আয়ের দিক থেকে বিরাট-রোহিতকে পেছনে ফেললেন ভারতের এই তারকা প্লেয়ার

এদিকে, ইসকনের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুরা অনেক আশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন । তাঁদের ওপর নিপীড়ন বাড়লে তাঁরা বিপুল সংখ্যায় ভারতে চলে আসতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাধীনতার স্বপক্ষে ও স্বাধীনতাবিরোধী দু’টি দল রয়েছে। এদিকে, শেখ মুজিব স্বাধীনতা বিরোধীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন। যাঁরা অনেকেই পাকিস্তানে চলে যান।

আরও পড়ুন: BSNL ব্যবহারকারীদের খুলে গেল কপাল! শীঘ্রই আসছে 5G পরিষেবা, সরকার নিচ্ছে বড় পদক্ষেপ

পরে তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং জামাত-এ-ইসলামীর মতো একটি কট্টরপন্থী দল প্রতিষ্ঠা করেন। এমতাবস্থায়, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশে মৌলবাদ বাড়তে থাকে। তবে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) নতুন শাসকদের হিন্দুবিরোধী ও ভারতের সঙ্গে অসহযোগিতার মনোভাব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাই, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ভারতকে সতর্কতার সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।