বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হিন্দুদের মধ্যে শক্তি উপাসকদের জন্য দেবীর স্থানই সবার আগে। দেবীর ৫১ শক্তি পীঠে পুজো হয়। এদের মধ্যে ১৮ টি মহাশক্তি পীঠ আর ৪ টি আদি শক্তি পীঠ। কিন্তু আজকের এই খবর ভারতের না, এই খবর পাকিস্তানের হিংলাজ দেবী মন্দির নিয়ে। সেখানে ৫১ টি শক্তি পীঠের মধ্যে একটি আছে। পাকিস্তানে আরও একটি শক্তি পীঠ আছে। সেটি করাচি শহরে অবস্থিত। ওই শক্তি পীঠটি শিবহরকারয় নামে পরিচিত। হিংলাজ দেবী মন্দিরে গোটা বিশ্বের হিন্দুরা যায়, আর সেখানে পাকিস্তানি মুসলিমরাও মাথা ঠুকে আসে।
হিংলাজ মন্দির করাচির পশ্চিমে বালোচিস্তান প্রান্তে অবস্থিত। লসবেলা জেলার মকরান কসবায় অবস্থিত এই হিংলাজ দেবীকে শুধু হিন্দুরাই না, মুসলিমরাও খুব মানে। এই কথা হিডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিসটেন্ট প্রোফেসর জর্জেন স্কেফ্লাচনার নিজের বইতে জানিয়েছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক স্থল গুলোর বিশেষজ্ঞ রুপে পরিচিত।
প্রোফেসর জর্জেন স্কেফ্লাচনার ‘হিংলাজ দেবী আইডেন্টিটি, চেঞ্জ অ্যান্ড সোলিডিফিকেহসন অ্যাট এ হিন্দু টেম্পল ইন পাকিস্তান” নামের একটি বই লিখেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, আগে এখানে পৌঁছান খুব মুশকিল ছিল। তখন মানুষ মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে দেবীর দর্শনের জন্য যেতেন। কিন্তু মকরান কোস্টাল হাইওয়ে হওয়ার পর হিংলাজ দেবীর ভক্তদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
হিংলাজ দেবীর মন্দির নিয়ে বলা হয় যে, যেই ভক্ত যত কষ্ট করে এই মন্দিরে পৌঁছাবে, সে দর্শনের ফল তত বেশি পাবে। আর এই কারণে শীতের মরশুমে মানুষ কয়েক কিমি পায়ে হেঁটে হিংলাজ দেবীর মন্দিরে পৌঁছান আর মায়ের দর্শন করেন।
মকরানে প্রতি বছর গরমের মরশুমে হিংলাজ যাত্রা হয়। এই যাত্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ অংশ নেন। এটি পাকিস্তানে অমুসলিমদের সবথেকে বড় জলসা। এই জলসায় গোটা পাকিস্তান থেকে মানুষ আসেন। এমনি গোটা বিশ্বের হিন্দুরা এই জলসায় অংশ নেন। এই মন্দিরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি কোনও মানুষ বানায় নি। এটি একটি প্রাকৃতিক গুহা।