বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু মন্দিরে হামলা থামার নামই নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দাবি ও আশ্বাস সত্ত্বেও মৌলবাদীরা মন্দিরকে টার্গেট করছে। জানা গিয়েছে যে, সিন্ধু প্রদেশের থার পারকার জেলার খতরি এলাকায় মৌলবাদীরা রবিবার হিংলাজ মাতার মন্দির (Hinglaj Mata Mandir) ভাংচুর চালিয়েছে। হামলাকারীরা মন্দিরে রাখা মূর্তিসহ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আপনাদের বলে দিই যে, গত 22 মাসে পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরগুলিতে এটি 11 তম হামলা।
হিংলাজ মাতা মন্দিরে হামলার পর পাকিস্তান হিন্দু মন্দির ব্যবস্থাপনার সভাপতি কৃষেন শর্মা বলেছেন যে, মৌলবাদীরা পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এবং পাকিস্তান সরকারকে ভয় পায় না। অন্যদিকে মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে হিন্দুরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মৌলবাদীরা প্রায়ই সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে। যদিওয় ইমরান সরকার দাবি করেছিল যে, তাঁরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক রাজধানী বলে পরিচিত করাচি শহরের একটি হিন্দু মন্দিরে চরমপন্থীরা দেবী দুর্গার মূর্তি ভাংচুর করে। করাচির নারিয়ান পুর হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। হামলাকারীরা মন্দিরের ভিতরে ঢুকে ধ্বংসলীলা চালায়। জানা যায়, করাচিতে বিপুল সংখ্যক হিন্দু বসবাস করেন। এই হামলার জন্য ইমরান সরকারও সমালোচিত হয়।
পাকিস্তানে এই হামলা এমন সময়ে ঘটছে যখন সুপ্রিম কোর্ট ক্রমাগত নোটিশ জারি করছে এবং ইমরান খান সরকার দাবি করছে যে তারা মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মাত্র কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের পাঞ্জাবের একটি গণেশ মন্দিরেও হামলা হয়। এই হামলার জন্য সারা বিশ্ব থেকে তীব্র সমালোচনার পর ইমরান খান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাঁর সরকার এই মন্দিরটি সংস্কার করবে। এর আগেও ইমরান খান ইসলামাবাদে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও মৌলবাদীদের বিরোধিতার কাছে মাথা নত করতে হয়।