বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিরণ চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee) বিজেপিতে (bjp) পা রাখার পর থেকেই দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। খড়গপুর সদর থেকে নির্বাচনে লড়ে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক হন তিনি। এদিকে খড়গপুরেরই লোকসভা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দলীয় কাজকর্ম নিয়ে বহুবার আদায় কাঁচকলায় হয়েছেন দুজনে।
কিছুদিন আগে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছেড়ে দিয়েছিলেন হিরণ। প্রথমে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার না করলেও পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন হিরণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বড়সড় চমক দিল গেরুয়া শিবির। খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী করা হল হিরণকে।
সোমবার মধ্য রাতে প্রকাশ করা হয় বিজেপির প্রার্থী তালিকা। সেখানেই দেখা যায়, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন হিরণ। বিষয়টা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে এখন। দলের এই সিদ্ধান্তের পরে রাজ্য বিজেপিতে যে হিরণ ও দিলীপের আলাদা দুটি গোষ্ঠীর বিভেদ আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে, তেমনি আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাম না করে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছিলেন, কোন দেবতাকে কোন ফুল দিতে হয় তিনি যেমন জানেন। তেমনি কে কোন ওষুধে ঠিক থাকে সেটাও জানেন। দলের মধ্যে চাপান উতোর ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছিল। এদিকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই পাকাপাকি ভাবে খড়গপুরেই ঘাঁটি গেড়ে নিয়েছেন হিরণ।
দল বদলের জল্পনা উড়িয়ে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করছেন তিনি। সম্প্রতি খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচনের প্রচার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হিরণকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। তারপরেই এই ঘোষনায় মনে করা হচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে হিরণ দাবি করেছিলেন, বঙ্গ বিজেপি অভিভাবক হীন। সন্তানদের আগলে রাখা যাচ্ছে না। প্রতিটি সংসারেই বাবা মা দের মধ্যে কলহ বিবাদ হয়, ভাই বোনেদের মধ্যেও ঝামেলা হয়। কিন্তু তাই বলে সন্তানদের পর করে দেন না বাবা মায়েরা। হিরণের মতে, অভিভাবকদের কখনোই সন্তানদের হাত ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে সন্তানরা হয় বিপথে চলে যাবে নয়তো অনাথ হয়ে পড়বে।
পালটা উত্তরে দিলীপ বলেন, দলের মধ্যে তো অনেকেই রয়েছেন। তাদের তো কোনো অভিযোগ নেই। দলের পুরো ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, কিছু মানুষের মনে হচ্ছে দলের মধ্যে থেকেও তারা একা। তারা সংগঠনের সঙ্গে নেই। দলের সিস্টেম বুঝতে পারেননি তারা, তাই এই সমস্যা। এমনকি দিলীপ ঘোষ এও বলেন, কারোর কারোর মতে যে জায়গাটা তাদের পাওয়া উচিত ছিল সেটা পাননি। তাদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।