বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে বারে বারে উঠে আসছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) নাম। বিশেষত খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়ে জেতার পর থেকে বিভিন্ন কারণে লাইমলাইট কেড়ে নিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির তরফে আয়োজিত চিন্তন বৈঠক তথা জয়ী কাউন্সিলরদের সংবর্ধনখ সভাতেও যোগ দেননি হিরণ।
এবার শোনা গেল, খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসার জন্য তৃণমূলের তরফে সমর্থন পেতে পারেন হিরণ। খড়গপুর পুরসভা নিজেদের দখলেই রেখেছে জোড়াফুল শিবির। এই পুরসভারই চেয়ারম্যান পদের জন্য খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণকে তৃণমূল সমর্থন করতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। আর এই কারণেই নাকি জেনেশুনেই নিজের দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন হিরণ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে জিতে খড়গপুর সদর পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান হিরণের কাছে। তবে পুরসভা নির্বাচনে অবশ্য ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন তিনি। কিন্তু প্রদীপ সরকারের নামে আসা উপর্যুপরি দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেই কারণেই এবারে প্রদীপকে সরিয়ে হিরণকে হিরণকে চেয়ারম্যানের আসনে বসানোর জল্পনা। যদিও এর জন্য দল বদল করতে হবে না অভিনেতা বিধায়ককে। বিষয়টা নিয়ে হিরণ জানিয়েছেন, সকলেই যদি তাঁকে চায় তবে তাঁর না বলার ক্ষমতা নেই। সংখ্যা গরিষ্ঠ জয়ী কাউন্সিলররা হিরণের নামে ভোট দিলেই তিনি হতে পারবেন চেয়ারম্যান।
এর আগে হিরণ দাবি করেছিলেন, পুরভোটে তাঁকে হারানোর জন্য দলের মধ্যে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ভোটে জিতে আসার পর তিনি হুঁশিয়ারি দেন, একে একে সব ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন। ৭২ ঘন্টা সময় চেয়ে নিয়েছেন হিরণ। এর মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত প্রমাণ দেখিয়ে দেবেন তিনি।