বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখন ঘোরতর রাজনীতিবিদ হয়ে উঠলেও এক সময়ে টলিউডের সঙ্গেই ওঠাবসা ছিল হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee)। এখনো তাঁর পরিচয়, তিনি বিধায়ক তথা অভিনেতা। যদিও ক্যামেরার সামনে এখন আর দাঁড়ান না। ‘নবাব নন্দিনী’ ছবির হাত ধরে টলিউডে সফর শুরু করেছিলেন হিরণ। বিপরীতে ছিলেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)।
সেই থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব। বৃহস্পতিবার কোয়েলের জন্মদিনে অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন হিরণ। আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরে তিনি জানালেন, কোয়েল নাকি এক্কেবারে লক্ষ্মীমন্ত। পড়াশোনা থেকে শুরু করে নাচ, অভিনয় সবেতেই তিনি একশোয় একশো।
অভিনয় জীবনে কোয়েলের সঙ্গে কাটানো বেশ কিছু স্মৃতি উঠে এসেছে হিরণের লেখায়। তিনি যখন টলিউডে পা রাখেন তখন অভিনয়, ক্যামেরার কিছুই বুঝতেন না। কোয়েল কার্যত হাতে ধরে সবটা শিখিয়েছিলেন তাঁকে। তেমনি একসঙ্গে প্রথম শো করতে যাওয়ার সময়েও কোয়েলের কাছেই নিঃসংকোচে সাহায্য চেয়েছিলেন হিরণ।
কোনো অহংকার করেননি কোয়েল। হিরণ জানান, নায়িকা সুলভ হাবভাব একদম নেই তাঁর মধ্যে। তাই যখন রোদে পুড়ে অন্যদের কাছে সানস্ক্রিন চেয়ে পাননি, তখন কোয়েলই নিজের সানস্ক্রিনটা অভিনেতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। হিরণের কথায়, কোয়েল টলিউডের চেনা ছকের বাইরে।
নইলে কোনো নায়িকা যে ডায়েট ভুলে ক্রমাগত চিপস খেতে পারে সেটা কোয়েলকে না দেখলে জানতেই পারতেন না হিরণ। আর অভিনেত্রীর পাল্লায় পড়ে তাঁরও নেশা ধরে গিয়েছিল এই বাড়িতে বানানো আলুর চিপসের।
হিরণকে সঙ্গে নিয়ে একবার ভবানীপুরে নিজেদের মল্লিক বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন কোয়েল। হিরণ জানিয়েছেন, সেখানে গিয়ে অভিনেত্রীর ঠাকুমার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। মল্লিক পরিবারের সকলেই খুব অভিজাত, সংষ্কৃতি মনস্ক। বাড়ির মেয়েও সেই শিক্ষাই পেয়েছেন।
হিরণের কথায়, রাজনীতিতে এলেও কোয়েল ব্যর্থ হতেন না। তবে অভিনেত্রী যদি কোনোদিন রাজনীতির জগতে আসেন তবে হিরণ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই দেখতে চাইবেন। সেটা যেকোনো দলেই হোক না কেন।