বাংলাহান্ট ডেস্ক: সবুজ ঝড়ের মাঝেও পুরভোটে খড়গপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। খড়গপুরে ছয় জন বিধায়ক পুরযুদ্ধে নেমেছিলেন গেরুয়া শিবিরের হয়ে। তার মধ্যে থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অরূপ দাস ও হিরণ ছাড়া সকলেই হেরে ভূত হয়েছেন। যারা জিতেছেন তাদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে শনিবার।
কিন্তু সেখানে থাকবেন না হিরণ। আবারো দলের সঙ্গে বিরোধিতা তাঁর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন হিরণ। আবার কেন অভিমান তাঁর? বিধায়কের দাবি, পুরভোটে তাঁকে হারানোর জন্য দলের মধ্যে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
সকলকে চমকে দিয়ে হিরণের নামটা যখন প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হয় তখন, থেকেই এমন দাবি করে আসছেন তিনি। কিন্তু কখনোই কোনো নাম উল্লেখ করেননি হিরণ। অবশেষে ভোটে জিতে আসার পর তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, একে একে সব ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন। ৭২ ঘন্টা সময় চেয়ে নিয়েছেন হিরণ। এর মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত প্রমাণ দেখিয়ে দেবেন তিনি।
হিরণের নিশানা কি দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে? কারণ দুজনের তেতো সম্পর্কের কথা কারোরই অজানা নয়। ভোটের আগে দিলীপের দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি হিরণ। সম্প্রতি বৃহস্পতিবার অভিযোগ ওঠে, দিলীপ ঘনিষ্ঠ দুই বিজেপি নেতা হিরণ ও তাঁর অনুগামী কয়েক জন মহিলাকে মারধোর করেছেন।
ভোটে জেতার পর হিরণের ওয়ার্ডের পার্টি অফিসেই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, সেই সময়েই ওই দুই নেতা সেখানে ঢুকে এসে ধাক্কা দেন হিরণকে। মার খান মহিলারাও। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেই বিধায়ক বলেছেন, তাঁর সমর্থকদের মারা হচ্ছে। খড়গপুর সদরে শাসক দলের সন্ত্রাস চলছে। এমতাবস্থায় তাঁর পক্ষে কলকাতায় গিয়ে সংবর্ধনা নেওয়া সম্ভব নয়।