বাংলাহান্ট ডেস্ক: মনোমালিন্য কাটিয়ে সম্প্রীতি বজায় রাখতেই খড়গপুরে (Kharagpur) মোক্ষম চাল চেলেছিল বিজেপি। পুরসভা ভোটে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছিল বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। উদ্দেশ্য, দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা খড়গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব দূর করা। কিন্তু সমস্যার সমাধান তো হয়ইনি, বরং বেড়ে গিয়েছ দূরত্ব।
খড়গপুরে সাম্প্রতিক দৃশ্য দেখে এমনি মত ওয়াকিবহাল মহলের। শনিবার রাতে ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের পাশে দেখা যায়নি হিরণকে। যদিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রায় সব নেতারাই। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দুজনের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই থামানোর জন্য দলের কৌশলটা মাঠে মারা গেল?
শনিবার সন্ধ্যায় খড়গপুরে এসেছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রথমেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। দিন কয়েক আগে এই কার্যালয়েই ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতার বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় নেতা রিপু নায়েকের সঙ্গে এদিন কথাবার্তা বলেন দিলীপ ঘোষ। গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতেও।
এরপর ৭ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সেরে রাত ৯ টা নাগাদ দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করেন। সেখানেই হিরণের অনুপস্থিতি নজর কাড়ে। উল্লেখ্য, তিনি ছাড়া পুরসভা ভোটে খড়গপুরের সমস্ত ওয়ার্ডের প্রার্থীরাই এদিন উপস্থিত ছিলেন।
যদিও গরহাজির থাকার কারণ হিসাবে হিরণ জানান, তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, তাই উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে থেকে সময় বের করে আসার জন্য দিলীপ ঘোষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা বিধায়ক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাম না করে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছিলেন, কোন দেবতাকে কোন ফুল দিতে হয় তিনি যেমন জানেন। তেমনি কে কোন ওষুধে ঠিক থাকে সেটাও জানেন। দলের মধ্যে চাপান উতোর ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছিল। এদিকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই পাকাপাকি ভাবে খড়গপুরেই ঘাঁটি গেড়ে নিয়েছেন হিরণ।
দল বদলের জল্পনা উড়িয়ে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করছেন তিনি। সম্প্রতি খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচনের প্রচার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হিরণকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। তারপরেই এই ঘোষনায় মনে করা হয়েছিল, রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।