বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিনা যুদ্ধে ভোটের আগেই তৃণমূলের দখলে এসেছে দিনহাটা পুরসভা। ফলে আজ ভোট গণনা চলছে ১০৭ টি পুরসভারই। যত সময় যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে এক এক করে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি কোনাতেই উড়ছে সবুজ ধ্বজা। খোদ দিলীপ ঘোষের গড় খড়্গপুরেও নিজেদের ভেসে যাওয়া আটকাতে পারেনি বিজেপি। তবে ওই পুরসভায় গেরুয়া শিবিরের মান রক্ষা করলেন অভিনেতা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। নিজের বিধানসভারই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিটেই জয়ী হয়েছেন তিনি।
জেতার খবর আসার পর, হিরণ জানিয়েছেন, ‘এই জয় এক ঐতিহাসিক জয়। এ আমার ব্যক্তিগত জয় নয়। এই জয় মানুষের জয়। মানুষের বিশ্বাসের, শক্তির জয়। মানুষের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, বঞ্চনা হয়েছে, একফোঁট জলের জন্যও মানুষ হাহাকার করেছে, সেই প্রতিবাদের জয়। অবশ্যই এই জয় ভারতীয় জনতা পার্টির। দলের কর্মী সমর্থকেরা সেভাবে পাশে থেকে লড়াই করেছেন তা বলার নয়। আমি বিজেপির হয়ে গত ১০ মাসে নিরন্তর কাজ করে চলেছি। আগামী ৫ বছর কাউন্সিলর হয়ে কাজ করে চলব। আমরা একসঙ্গে সকলে কাজ করে চলব।’। খড়্গপুরের ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে তৃণমূল, ৬টিতে বিজেপি, ৬টিতে কংগ্রেস, ১টিতে সিপিএম, ১টিতে সিপিআই, ও একটিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিও চলে গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। সেখানে ২১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই এগিয়ে তৃণমূল। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এই প্রথম বারের জন্য কাঁথি পুরসভা হাতছাড়া হল অধিকারী পরিবারের। শুভেন্দু অধিকারী কাঁথির মাটি কামড়ে বহু চেষ্টা করলেও শেষ মেষ তরী তীরে এসেই ডুবল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এনে সরব হয়েছে সবকটি বিরোধী দলই। তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশও জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ফলে রাজ্যের পুরসভায় তৃণমূলের এই জয়কে যে মোটেই সাদা চোখে দেখছে না বিরোধী শিবির তা বলাই বাহুল্য।