বাংলা হান্ট ডেস্ক : যদিও চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করেছে বিজেপি কারণ দীর্ঘ বিতর্কের পর দীর্ঘ প্রতিবাদের পর অবশেষে সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করে গিয়েছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর নাগরিকত্ব সংসদেই বিল নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয় লোকসভা চত্বরেই। সোমবার টানা বারো ঘণ্টার লড়াইয়ের পর অবশেষে মধ্যরাতে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিজেপি পাশ করে গিয়েছিল এবং লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও পাশ করেছিল।
বাকি ছিল রাজ্যসভা কারণ রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেলেই আইন প্রণয়ন হবে তবে বুধবার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে কেন্দ্রের। বিলটির পক্ষে সায় দিয়েছে 125 জন তাই এই বিলটিকে একদিকে যুগান্তকারী এবং অন্যদিকে এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেত্রী সনিয়া গাঁধী দিনটিকে সংবিধানের কালো দিন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিলটি যখন ভোটাভুটিতে পাঠানো হয়েছিল সিলেক্ট কমিটিতে তখন থেকে বিরোধিতা শুরু করেছিল কংগ্রেস এবং শিবসেনা। তাই তো ভোটাভুটি শুরুর আগেই শিবসেনার তিন সংসদ ওয়াকআউট করেছিল। যদিও লোকসভাতেও এই বিলকে সমর্থন করেনি শিবসেনা। অন্যদিকে বিল পাশ হওয়ার পর টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, দেশ ও দেশবাসীর ভাবাবেগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন আজ, রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ হওয়া নিয়ে আমি খুব খুশি।
A landmark day for India and our nation’s ethos of compassion and brotherhood!
Glad that the #CAB2019 has been passed in the #RajyaSabha. Gratitude to all the MPs who voted in favour of the Bill.
This Bill will alleviate the suffering of many who faced persecution for years.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 11, 2019
পাশাপাশি তিনি বীরের বিপক্ষে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এই বিলটি সকলকে স্বস্তি দেবে বলেও জানান তিনি। এবং বহু বছর ধরে নিপীড়িত মানুষদের কষ্ট লাঘব হতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন মোদী। যদিও শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সফল হয়েছে।
তবে এই বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারে না এই সরকার এই বলে কটাক্ষ করেন, এমনকী পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কিংবা এনআরসি চালু করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তর পূর্ব অঞ্চলের অসম এবং ত্রিপুরা।
বার বার সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। সোমবারের পর বুধবার আবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা এমনকি সেখানেই স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে।