বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) সাথে লাদাখ (India) সীমান্ত নিয়ে জারি বিবাদের মধ্যে চীন (China) আন্তর্জাতিক মঞ্চে বড়সড় ঝটকা খেলো। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে (WTO) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (EU) সাথে জারি বিবাদের হারের মুখ দেখল। আর এই হারের ফলে চীনের তথাকথিত বাজার আধারিত অর্থনীতির (Market Economy Status) তকমা খতম হয়ে গেলো। CCP গত চার বছর ধরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে চীনের মার্কেট ইকোনমিক স্ট্যাটাসকে স্বীকার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। আপনাদের জানিয়ে দিই, চীন এই মামলা গত বছর অস্থায়ী সিদ্ধান্তেও (Provisional Decision) হেরে গেছিল।
ইউরোপিয়ান সংঘ জানিয়েছে যে, CCP স্টিল আর অ্যালুমিয়াম সমেত নিজেদের অনেক সামগ্রীতে বেশ ভালো ছাড় দেয়। আর এরফলে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের উৎপাদের দাম অনেক কম থাকে। এবার CCP এর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউরোপিয়ান সংঘ আর আমেরিকা চীনের উৎপাদে অত্যাধিক পরিমাণে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক লাগাতে পারবে। এরফলে আমেরিকা আর ইউরোপ নিজেদের ঘরোয়া উৎপাদ গুলোকে আরও বেশিকরে সংরক্ষণ দিতে পারবে। উল্লেখ্য, চীন অনেক কম দামে নিজেদের সামগ্রী অন্য দেশে জমা করে। এরপর আমদানি করা দেশের অর্থনীতি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী বড়সড় ক্ষতির সন্মুখিন হয়।
চীন নিজেদের কমদামি সামগ্রী গুলোকে একটি দেশে জমা করার পর সেগুলোকে বাজারে ছেড়ে দেয় আর পুরো বাজার ওই কমদামি জিনিষে ভরে যায়। এরপর তাঁরা নিজেদের সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দেয়। এবার এই সিদ্ধান্তের পর চীনের উৎপাদে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক চাপিয়ে এরকম করার থেকে আটকাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আমেরিকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রবার্ট লাইটজার বলেন, এটি WTO তে চলে সবথেকে গম্ভীর বিবাদ ছিল। উনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে WTOকে বলেছিলেন যে এই বিষয়কে গম্ভীর ভাবে নিয়ে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে। উনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, WTO যদি উচিৎ সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে আমেরিকা WTO এর হাত ছাড়তে বাধ্য হবে।
এই মামলার সাথে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, চীন এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলল। এই মামলায় তাঁরা ঐতিহাসিক হারের মুখোমুখি হয়েছে। অন্য মামলায় জয় এই মামলায় হারের সামনে একদম বেকার। দ্য বিএল এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে যে CCP যুক্তরাষ্ট্র, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, IMFসমেত অনেক কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় ঢুকে পড়েছে।
আর এই জন্য WTO এর এই সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মানা হচ্ছে। আরেকদিকে গোটা বিশ্ব এটা বলছে যে, চীন নিজেদের অবহেলার কারণে করোনা ভাইরাসে মহামারীকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এই করোনা এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে অর্থনীতির সাথে সাথে লক্ষ লক্ষা মানুষের প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে।