ভারতের (india) সর্বোচ্চ আদালত (Supreme court ) সোমবার সেনায় মহিলা আধিকারিকদের স্থায়ী পদ দেওয়ার আবেদনে শুনানি করার সময় কেন্দ্র সরকারকে ধমক দেয়। আদালত কেন্দ্র সরকারকে বলে, ২০১০ সালে দিল্লীর হাইকোর্টের আদেশের পর এই নিয়ম লাগু করা উচিৎ ছিল।
আদালত জানায়, সামাজিক আর মানসিক কারণ দেখিয়ে মহিলাদের এই অবসর থেকে বঞ্চিত করা শুধুমাত্র বৈষম্যই নয়, এটা অস্বীকার যোগ্য। আদালত কেন্দ্রকে মানসিকতা বদলানোর পরামর্শ দেয়। আদালতের সিদ্ধান্তের পর মহিলাদের যুদ্ধ ক্ষেত্র বাদ দিয়ে সমস্ত স্থানে মোতায়েন করার রাস্তা পরিস্কার হয়ে গেলো।
সুপ্রিম কোর্ট দিল্লীর হাইকোর্টের আদেশ জারি রেখে বলে, মহিলাদের সেনার ১০টি বিভাগে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে। আদালত সরকারকে মহিলাদের কম্যান্ড না দেওয়ার যুক্তিকে সমানতার বিরুদ্ধে বলে জানিয়েছে। আদালত বলেছে, সশশ্ত্র সেনায় লিঙ্গ বৈষম্য খতম করার জন্য সরকারে মানসিকতা বদলানোর দরকার।
যদিও আদালতের সিদ্ধান্তের পরেও যুদ্ধ ক্ষেত্রে মহিলা আধিকারক মোতায়েন করা হবেনা। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আর বিচারক অজয় রস্তোগির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, সেনায় মহিলা আধিকারিকদের নিযুক্ত একটি বিকাসবাদি প্রক্রিয়া। আদালত জানায়, শীর্ষ আদালত দ্বারা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে বাঁধা না দেওয়ার পরেও কেন্দ্র লাগু করেনি। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে পদক্ষেপ না নেওয়ার কোন কারণ উচিৎ না না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।