ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে প্রথমবার বাবা-মেয়ে একসঙ্গে ওড়ালেন যুদ্ধবিমান, রইল তাদের কাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর জিনিস যদি কিছু হয়ে থাকে, তা হল বাবা এবং তার মেয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক। শৈশবকাল হতেই বাবাকে আইডল হিসাবে মেনে নিয়ে তার দেখানো পথেই হাঁটতে চায় সকল কন্যা। উদ্দেশ্য একটাই, বাবার মুখে হাসি ফোটানো আর বর্তমানে সেই আদর্শকে অবলম্বন করেই দেশের বুক থেকে এমন একটি খবর উঠে এল, যা আবেগঘন করে তুলেছে সকল দেশবাসীকে। আমাদের দেশে এমন খুব কম উদাহরণ রয়েছে, যেখানে বাবার পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায় মেয়েকে। তবে বর্তমানে সেই বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয় বায়ুসেনায় একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ালেন বাবা-মেয়ে। তাদের জুটির আকাশে বিমান ওড়ানোর এই ঘটনা বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র।

বাবা সঞ্জয় শর্মা বায়ুসেনার এয়ার কমোডোর পদে নিযুক্ত। দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনাতে যুক্ত রয়েছেন আর তাঁর কাজের প্রতি দৃঢ় নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দেখেই বড় হয়ে উঠেছে কন্যা অনন্যা শর্মা। ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল, একদিন বাবার সঙ্গে আকাশে ওড়াবেন যুদ্ধবিমান আর বর্তমানে সেই লক্ষ্য সফল করেই অবশেষে বাবা-মেয়ের জুটি মিলে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে বায়ুসেনাতে যোগদান করেন অনন্যা। এরপর ট্রেনিং চলাকালীন সঞ্জয়ের কাছেই শিক্ষালাভ হয় তাঁর।

এক্ষেত্রে বায়ুসেনার নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর বায়ুসেনা দ্বারা একটি বিশেষ ফর্মেশন মেনে সকলকে বিমান চালাতে হয় আর সেখানেই ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন সঞ্জয়-অনন্যা জুটি। একঝাঁক হক ১৩২ যুদ্ধ বিমান ওড়ালেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পূর্বে মেয়েদের ফাইটার পাইলট হওয়ার কোনরকম অনুমতি দিত না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে বর্তমানে সেই নিয়ম শিথিল করেছে তারা আর এর ফলে বর্তমানে এক স্বপ্ন সত্যি করার মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো গোটা দেশবাসী। এই প্রসঙ্গে বায়ুসেনা জানায়, “অতীতে বাবা এবং মেয়ে মিলে যুদ্ধবিমান চালিয়েছে, এরকম কোন নজির নেই। এই প্রথম সঞ্জয় এবং তাঁর কন্যা অনন্যা মিলে ইতিহাস সৃষ্টি করলো।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর