বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়েক দশক ধরে হাওড়া ব্রিজ কলকাতার (Kolkata) অন্যতম এক স্ট্যাটাস সিম্বল। বিশ্বের কাছে কলকাতার নাম বললেই তারা হাওড়া ব্রিজকে কল্পনা করেন। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই হাওড়া ব্রিজ দেখতে আসেন। ১৯৬৫ সালে এই ব্রিজের নাম দেওয়া হয় রবীন্দ্র সেতু। যদিও বর্তমানেও এই সেতু হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) নামেই বেশি প্রসিদ্ধ।
কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য উনিশ শতকের শেষ দিকে ব্রিটিশ সরকার হুগলি নদীর উপর একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা করে। হুগলি নদী দিয়ে সেই সময় বহু জাহাজ যাতায়াত করতো। এর ফলে পিলারের সেতু তৈরি করলে সমস্যা হতে পারে জাহাজ চলাচলে। তাই তৎকালীন সরকার বিকল্প একটি পন্থা বার করে।
এই সেতু যাতে দুই দিকে দুটি পিলারের উপর ভার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে সেই রকম ভাবে নকশা করা হয় হাওড়া ব্রিজের। দু প্রান্তের সেই পিলারগুলির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮০ ফুট। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাওড়া ব্রিজ তৈরি শুরু হয় ১৯৩৬ সালে। ১৯৪২ সালে শেষ হয় কাজ। সর্বসাধারণের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয় ১৯৪৩ সালের, ৩ ফেব্রুয়ারি।
তৎকালীন সময় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সেতু ছিল এই হাওড়া ব্রিজ। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হাওড়া ব্রিজের খুব কাছেই জাপানিরা বোমা ফেলে। সেটা ছিল ডিসেম্বর মাস। বরাত জোরে বেঁচে যায় হাওড়ার ব্রিজ। সেই বোমা যদি হাওড়া ব্রিজে পড়তো তাহলে চিরকালের মত ধ্বংস হয়ে যেত কলকাতারই ঐতিহ্য।