বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিন যতই বদলে যাক মহালয়ার দিন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়ার ধ্বনি না যেন শুনলে যেন অসম্পূর্ণ হয়ে যায়। বাঙালীর ঘরে রেডিও আজও জীবিত আছে শুরু মাত্র বছরে একবার মহালয়া শোনা জন্যই। যদিও আজ ইন্টারনেটের যুগ। কিন্তু তাতেও প্রতি মহালয়ার ভোরে বাংলার সমস্ত ঘর থেকে মহালয়ার ধ্বনি ও মন্ত্র শোনা যায়। আর মহালয়া থেকেই যেহেতু দেবীপক্ষের সূচনা হয় তাই মহালয়ার দিন থেকে যেন গোটা প্রকৃতি মেতে ওঠে শারোদত্সবের আনন্দে। আর এই মহালয়াই বাড়ির বাইরে থাকা মানুষদের ফেরানোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বাঙালীর সবথেকে বড় উত্সব এই দুর্গাপুজোর সূচনা মহালয়া দিয়ে হলেও মহালয়ার সঙ্গে কিন্ককু দেবীপুজোর কোনো মিলই নেই। তবে মহালয়া মানে তিন পুরুষের আত্মা শান্তির জন্য একটা বিশেষ দিন। এদিন ভোরে তর্পন করা হয়। গঙ্গায় গিয়ে তিন পুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় জল ও তিল দিতে হয়। আর মহালয়া থেকে শুরু হয় প্রতিপদ, প্রথমা দ্বিতীয়া, তৃতীয়া এসব। আর তারপরই দেবীর অকাল বোধন। তবে এই মহালয়ার ইতিহাস নিয়ে অনেক মতামত ও কৌতূহল রয়েছে।
সনাতন ধর্মের মতে, এবছর 13 সেপ্টেম্বর তারিখে প্রথম পিতৃপক্ষের সূচনা হয়েছিল।তবে এবারের মহালয়ার অমাবস্যা পড়েছে বাংলার 1426 সালের 10 আশ্বিন শুক্রবার, 27.09.2019 আর আমাবস্যা ছাড়বে 11 আশ্বিন শনিবার 1426। অর্থাত্, 28.09.2019 তারিখের রাত 11 টা 56 মিনিটে।