বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অনেক হিন্দু বাড়ির মহিলাদের চৈত্র মাসের প্রতি সোমবার উপোষ থেকে মহাদেব শিবের (shiva) মাথায় জল ঢালতে দেখা যায়। সংসারের মঙ্গল কামনা করে অনেকেই চৈত্র মাসে এই নিয়ম পালন করে থাকেন। সকাল সকাল উপোষ থেকে স্নান সেরে বাবার মাথায় জল ঢেলে উপোষ ভাঙ্গেন এবং দিনভোর নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন।
এই চৈত্র মাসের এক সোমবারে জেনে নিন বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা ৫ টি শিব মন্দিরের ইতিহাস।
উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরঃ গড়ওয়াল হিমালয়ের ১১,৭৫৫ ফুট উচ্চতায় শিবের জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। কথিত আছে মহাভারত যুদ্ধের পরে পাণ্ডবেরা এখানে এসেই তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন। আবার অনেক বলেন, নরণারায়ণের অনুরোধ রাখতে মহাদেব এই স্থানেই এসে কিছুদিন কাটিয়েছিলেন।
হাম্পির বিরুপাক্ষ মন্দিরঃ ১৪ শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্য কালে তৈরি হয় কর্ণাটকের হাম্পি বিরুপাক্ষ মন্দির। এই ত্রিভুজাকার মন্দিরের ছাদ বরাবর এবং রান্নাঘরের গা ঘেঁষে উঠোন হয়ে নদীর স্রোত প্রবাহিত হয়। বিরুপাক্ষ এবং পম্পার বিয়ে দিন এবং রথের সময় এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।
কোয়েম্বাটুরের আদিযোগী শিব মূর্তিঃ ৩৪.৩ মিটার উঁচু তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের আদিযোগী এই শিবমূর্তি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ঈশা ফাউন্ডেশনের সাদগুরু যোগী বাসুদেব বিশ্বের বৃহত্তম শিবের অর্ধমূর্তির ডিজাইন করেছেন। ২০১৭ সালে ২৪ শে ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মূর্তি উদ্বোধন করেন।
ইন্দোনেশিয়ার পুরু ব্রতান মন্দিরঃ ব্রতান ঝিলের ধারে ১৬৩৩ সালে তৈরি হওয়া ১১ তলার একটি জলমন্দির এটি। পুরু ব্রতান ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অবস্থিত এই মন্দিরে মহাদেব শিব ও তাঁর অর্ধাঙ্গিনী পার্বতী থাকেন।
ইলোরার কৈলাশনাথ মন্দিরঃ অষ্টম শতাব্দীতে রাষ্ট্রকুট রাজবংশের শাসক কৃষ্ণরাজ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল ইলোরার কৈলাশনাথ মন্দির। ইলোরা গুহায় অবস্থিত এই মন্দির অখন্ড। বিশাল শিলা পাথর কেটে কেটে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল।