মথুরা, বৃন্দাবনে চলছে জমিয়ে হোলির উৎসব, বিদেশ থেকেও এসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মথুরা, বৃন্দাবন, বারসানা এবং নন্দগাঁওতে একটু অন্য রকমভাবেই দোল উৎসব পালিত হয়। যা দেখার টানে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে।

বৃন্দাবনের দোল উৎসব (Vrindavan Dol festival)

বৃন্দাবনের দোল উৎসবঃ

মথুরা , নন্দগাঁও, বৃন্দাবন, বারসানা ৪০ দিনের জন্য দোল উদযাপন করা হয়। ব্রিজ ধামের প্রত্যেকটি স্থানে দোল খেলার স্বাদ ভিন্ন, তবে বারসান হোলি একেবারেই আলাদা যাকে বলা হয় লাথ মার হোলি। লথ মার হোলি বা দোলের পিছনে কারণ বিশেষ আকর্ষণীয়। কারণ সেখানকার লোকজনদের মতে কৃষ্ণ নন্দগাঁও থেকে বারসানা পর্যন্ত দোল খেলতে আসেন রাঁধার সঙ্গে হোলি খেলে এবং তাদেরকে জ্বালাতেন। বারসানার নারীরা লাঠি দিয়ে কৃষ্ণ এবং তার বন্ধুদের মজা করে আঘাত করতেন। তাই বারসানার মানুষরাও একই ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসছে।

o 1

নন্দগাঁওতে হোলি উৎসবঃ (Holi festival in Nandgaon)

একইভাবে নন্দগাঁওতে হোলি খেলা হয়, যেখানে বারসানা পুরুষেরা নন্দগাঁও আসে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে হোলি খেলতে। লাথ মার হোলি শুধুমাত্র নন্দগাঁও এবং বারানাসাতেই উদযাপন করা হয়। লাথ মার হোলিতে বারসানা এবং নন্দগাঁও ছাড়া বাইরের কেউ অংশগ্রহণ করার অনুমতি নেই।

বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি উৎসবঃ (Banke Behari temple Holi festival in Vrindavan)

অন্যদিকে বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে বাইরের লোকেরা আনন্দের সহিত হোলি উদযাপন করতে পারে। বৃন্দাবনে হোলি গুলালের সঙ্গে খেলা হয়। বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে রাস্তার সামনে গেলেই দেখা পাওয়া যাবে হাজার হাজার বিদেশি মানুষের ঢল। দেখতে পাবেন আবিরে রাঙা রঙিন মানুষ। সেখানে এমন কেউ নেই যে হোলি উৎসব পালন করে না। সেখানকার মানুষরা আবির ভর্তি প্যাকেট হাতে নিয়ে রাঁধে রাঁধে বলে আবির ছড়িয়ে দেয়। মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করার সময় বালতি এবং পিচকারি দিয়ে মানুষের জামা কাপড় রঙিন করে দেয়। সেই মন্দিরে একটা অদ্ভুত অনুভূতি পাবেন। ভিতরে প্রভু কৃষ্ণ মূর্তিকে ঘিরে খেলা হচ্ছে আবির এবং প্রচুর মানুষের উপস্থিতি সঙ্গে রাধে রাধে গর্জন। যেন এক অদ্ভুত পরিবেশের মেলবন্ধন।

color 2435301 835x547 m

 

মথুরাথে হোলি উৎসবঃ (Holi Festival in Mathura)
মথুরাথে ধুমধাম করে হোলি পালন করা হয়,তার পিছনে আছে এক ইতিহাস। রাধার সাথে প্রেম পর্ব চলছে,বলা হয় শ্রীকৃষ্ণ তখন রাধার গায়ের রঙ দেখে ঈর্ষা করত এবং প্রায় তার মার কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতেন যে তার এরকম গায়ের রঙ কেন? শুধুমাত্র গায়ের রঙে সমতা আনার জন্য শ্রীকৃষ্ণ রাধার গায়ে রঙ ছুঁড়ে দিয়েছিল। নন্দগাও থেকে কৃষ্ণা এবং তার বন্ধুরা প্রায় তার এবং রাধার সখিদের রঙ ছুঁড়ে দিত। এবং বদলা দুরন তারাও রঙ নিয়ে ছুড়ত। সেই থেকে এখনও মথুরাতে এইভাবেই হোলি খেলা হয়ে থাকে। এবং তার সাথে লাঠি নিয়ে নাচগান ও হয়।

রাধা কৃষ্ণের লীলাকে কেন্দ্র করে আজ ও মথুরাতে হোলি উৎসব মানানো হয়। সাতদিন আগে থেকে এই উৎসব পালিত হয়, এবং শেষ দিন অবধি চলে।

বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হোলি উৎসব মানানো হয়। তাই নয় দেশের বাইরে বিদেশিদের মধ্যেও এর প্রচলন দেখা যায়। দোল পূর্ণিমা দিন হোলির রঙে সবাই নিজেদের রাঙ্গিয়ে তলে, সমস্ত বিভেদ ভুলে এক হয়ে যায়। আমাদের কলকাতাও মহা ধুমধাম এর সাথে পালিত হয়। ছোট থেকে শুরু করে বড় সবাই রঙর এর উৎসবে মেতে ওঠে। এবং রঙ খেলার পর মিষ্টি মুখ করে এই আনন্দের সমাপ্তি ঘটে। আশা করব দোল পূর্ণিমার এই নিবন্ধনটি আপনাদের ভালো লাগবে। আরও ভালো ভালো তথ্য পেতে আমাদের পেজটি সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।

 

 

 


সম্পর্কিত খবর