বাংলহান্ট ডেস্কঃ করোনার (COVID-19) প্রভাবে প্রভাবিত সকলে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রভাবিত হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যও। দেশের বাইরে তো দূর, দেশের মধ্যেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষের যাতায়াত অনেক কমে গেছে। হোটেলগুলো সব প্রায় জনশূণ্য হয়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরনো অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তবে এই সময় কিন্তু চাহিদা বাড়ছে হোম ডেলিভারির।
করোনার ভয়ে মানুষজন ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এই সময় খাবাররে জোগানে রাস্তায় নেমে পড়েছেন ডেলিভারি বয়রা। অন্যদিনের তুলনায় কম সংখ্যক কর্মী থাকলেও, তাদেরকেই ছুটে যেতে হচ্ছে মানুষের চাহিদার প্রয়োজনে। এইসময় রেস্তোরাঁ গুলোও খা খা করছে। হোটেলগুলিতে করোনার জন্য ৫০-৯০ শতাংশ বুকিং বাতিল করেছেন অতিথিরা। সংকটে এখন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
এই পরিস্থিতিতে বহরমপুরের লালদিঘি লাগোয়া একটি হোটেল এবং রেস্তরাঁর মালিক চন্দন সরকার জানান, ”করোনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে গত এক সপ্তাহ থেকে অতিথিরা একের পর এক হোটেল বুকিং বাতিল করছেন। আমাদের হোটেলেরই প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং একদিনে বাতিল হয়েছে। রেস্তরাঁতেও অনেক কম লোকজন আসছেন। তাই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে আমরা এখন রেস্তরাঁ থেকে হোম ডেলিভারি বাড়াচ্ছি। শহরের যেসকল মানুষ রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন, তাঁদের হোম ডেলিভারি নেওয়ার জন্য অনুরোধও করছি। তবে হোটেলে আগত ব্যক্তিদের জন্য রিসেপশনে হ্যান্ডওয়াশ, ডেটলের ব্যবস্থাও করা আছে। খাবারও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রান্না করা হচ্ছে। এবং আমরা প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জনতা কার্ফুর দিন, রেস্তরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্র থেকে জানা যায়, খাদ্য সামগ্রী থেকে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে না। এই রোগ মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। সমস্ত মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে সকলকে। যতটা সম্ভব ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে জনসাধরণকে।