বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আগামী বছর হতে চলা নির্বাচনের আগে রাজ্য আর কেন্দ্র সরকারের মধ্যে বিবাদ বেড়েই চলেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে (Mamata Banerjee) নিশানা করেছে। আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পর বিজেপির রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। আরেকদিকে, এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি আর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তৃত রিপোর্ট চেয়েছে।
সুত্র অনুযায়ী, আজকের ঘটনার পর কেন্দ্র এই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যপালের সাথে ডিজিপি আর মুখ্য সচিবের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিই যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে জেপি নাড্ডার কনভয়ে আজ হামলা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা জেপি নাড্ডার কনভয় রোখার চেষ্টা করে। আর তখন তৃণমূলের কর্মীরা কনভয়ে পাথরবাজি করে।
এই ঘটনার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি করেন। মুকুল রায় বলেন, আজকের পরিস্থিতি দেখে পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিৎ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূল শাসনে বাংলায় অত্যাচার, অরাজকতা আর অন্ধকারের যুগ নেমে এসেছে। তৃণমূল রাজে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা চরম সীমায় পৌঁছে ছে, সেটা গণতান্ত্রিক মূল্যে বিশ্বাস করা মানুষের জন্য খুবই দুঃখজনক আর চিন্তাজনক।”
আরেকদিকে, এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি দরকার ছিল অভিষেকের কেন্দ্রে গিয়ে খোঁচা দেওয়ার? একটা বড় মিটিং করলেই তো হয়ে যেত, অনেক সময় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ করে ফেলে।”
ওনাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে যে, রাস্তায় পুলিশের তেমন কোনও নিরাপত্তা ছিল না। আর থাকলেও পুলিশের সামনেই কনভয়ে হামলা করা হয়। তখন সেই প্রশ্নের জবাবে সৌগত বাবু বলেন, ‘নাড্ডা দেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি নন যে ওনার জন্য সারা রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে। আর সেই কারণেই সব জায়গায় পুলিশ ছিল না, তাই এমন হয়েছে।” যদিও তিনি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।