সাইবার ফ্রডে আর খোয়া যাবে না আপনার কষ্টের টাকা, অভিনব উদ্যোগ মোদী সরকারের

 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রথম থেকেই ক্যাশলেস সোসাইটি এবং ডিজিটাল পেমেন্টের উপর জোর দেওয়ার কথা বলে আসছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু একদিকে যখন লকডাউন এবং করোনার কারণে ডিজিটাল ট্রানজাকশনের উপর আরও বেশি ভরসা রাখার চেষ্টা করছে মানুষ তখনই অন্যদিকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম। নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা এই অপরাধীদের চক্করে বারবার হারাচ্ছেন মানুষ। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অনলাইন ট্রানজেকশন থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। ব্যস্ততার দিনে অনলাইন ট্রানজেকশন ছাড়া গতি নেই।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে চালু হলো জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর এবং একাধিক রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্ম। জনগণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই প্লাটফর্মটি নির্মাণ করল কেন্দ্র সরকার। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ছত্রিশগড়, দিল্লি, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ মোট সাতটি রাজ্যে প্রাথমিক ভাবে চালু করা হয় এই প্লাটফর্মটি। জানা গিয়েছে এর জেরে দুমাসেই যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটি পঁচাশি লক্ষ টাকার প্রতারণা ধরা পড়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে দেশের সমস্ত ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার অফ ইন্ডিয়ার মত সংগঠনগুলি।

এই ব্যবস্থা পুলিশকেও প্রতারকদের ধরার জন্য আরও বেশী সুযোগ করে দেবে। গ্রাহক এবং ব্যাংক দুই তরফেই সুরক্ষার পরিমাণ আরও অনেকটাই বাড়বে। জেনে নিন কি করে ব্যবহার করবেন এই হেল্পলাইনঃ

★আপনার সঙ্গে কোন টাকা জালিয়াতি হলে ১৫৫২৬০ এই নম্বরে কল করে আপনি সাহায্য নিতে পারবেন। এটি পুলিশ আধিকারিকদের দ্বারা পরিচালিত। এখানেই লিখিত হবে অভিযোগকারীর বিস্তারিত বিবরণ এবং প্রতারণার বিবরণ। যার ফলে আপনার নামে একটি টিকিট জেনারেট হবে।

★ এই টিকিটগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

★অভিযোগকারীকে একটি রিপোর্টিং নাম্বারও এসএমএস করা হবে। যে নাম্বার নিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সাইবারক্রাইম পোর্টালগুলোতে আবেদন জানাতে পারবেন।

★এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক জালিয়াতি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং টাকা যদি সেই ব্যাংকেই থাকে তাহলে তা সিল করতে পারবে। যদি অন্য কোন ব্যাংকে ইতিমধ্যেই টাকাটি চলে গিয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যাংকেও টিকিট প্রেরণ করা হবে। যার মাধ্যমে কোন ব্যাংক থেকেই প্রতারক টাকাটি তুলতে পারবে না।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর