বিয়ের সমস্যা দূর করতে দরকার নাবালিকার রক্ত! দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ বাঁকুড়ার গৃহশিক্ষকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স এগোচ্ছে নিজ গতিতে, কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক গৃহশিক্ষক। তান্ত্রিক ঐ গৃহশিক্ষককে পরামর্শ দেন যে সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজন এক নাবালিকার রক্তবস্ত্র। তান্ত্রিকের নিদান মেনে রক্তবস্ত্র জোগাড়ের জন্য একই দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন গৃহ শিক্ষক। রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বনমালীপুরের এই ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

সূত্রের খবর অভিযুক্তের নাম সবুজ দে। ৩০ বছর বয়সী স্নাতক উত্তীর্ণ এই যুবক নিজের বাড়িতেই গৃহশিক্ষকতার কাজ করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তার বিয়ের জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছিল না। এরপর তিনি শরণাপন্ন হন বেলিয়াতোড়ের নারায়ণগঞ্জের মাঝি পাড়ায় একটি মনসা মন্দিরে গুরুপদ তান্ত্রিকের। তান্ত্রিক সবুজ দেকে জানায় যে মা মনসা তার উপর রেগে আছেন। মা মনসাকে তুষ্ট করার জন্য অমাবস্যার রাত্রে কোন নাবালিকার রক্তবস্ত্র মায়ের পায়ে সমর্পণ করতে হবে।

এরপর সবুজ পরিকল্পনামাফিক কালীপুজোর রাত্রে তার কাছে পড়তে আসা দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর একটি সাদা কাপড়ের মাধ্যমে নাবালিকার রক্ত শোষণ করে। এরপর নাবালিকাটি বাড়ি ফিরে সব ঘটনা জানালে গত ২৪ অক্টোবর গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহশিক্ষক সবুজ ও তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

rape 9 1

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গৃহ শিক্ষক সবুজ দে নিজেই সম্পূর্ণ ঘটনা স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে তান্ত্রিক গুরুপদ মাঝির ব্যাপারে বলতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে এই তান্ত্রিক দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের কালা জাদু,বশীকরণ ইত্যাদির কাজ করে আসছেন। বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন তার কাছে আসেন। এই তান্ত্রিকের প্ররোচনাতেই সবুজ নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর