বাংলা হান্ট ডেস্ক : সৈকত শহর দীঘা থেকে ঢিল ছোড়া দূরেই অবস্থিত মন্দারমণি (Mandarmani)। দীঘার তুলনায় কম ভিড় হলেও সপ্তাহের শেষে নিরিবিলিতে সময় কাটানর জন্য অনেকেই ছুটে আসেন মন্দারমণি (Mandarmani) সমুদ্র ঘেঁষা বিভিন্ন হোটেল রিসর্টগুলিতে। কিন্তু এবার এই মন্দারমণি (Mandarmani) থেকেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। হোটেল ব্যবসার আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্রের ব্যবসা। আর সেই কাজে সরাসরি যুক্ত হোটেলের ম্যানেজার।
মন্দারমণির (Mandarmani) হোটেলে মধুচক্র
পুলিশের হাত ধরে মন্দারমণির মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত তোলপাড় গোটা পর্যটনস্থল। হোটেলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্যই মোটা টাকা দিয়ে বাইরে থেকে নিয়ে আসা হতো যুবতীদের। এইভাবেই দিনের পর দিন চলছিল রমরমা ব্যবসা। গোপন সূত্রে আগেই এই অসাধু ব্যবসার খবর পেয়েছিল পুলিশ।
তাই অপরাধীদের হাতেনাতে ধরতেই রবিবার রাতে মন্দারমণির হোটেল-রিসোর্ট গুলিতে তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করে পুলিশ। আর ঠিক যা ভেবেছিল তাই! একের পর এক হোটেল রুম থেকে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৩ জন। এদিন তল্লাশি চালাতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় পুলিশের।
পরপর তিনটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এদিন ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। পাশাপাশি ছয় জন যুবতীকেও উদ্ধার করা হয়েছে এদিন। তবে ঘুরতে এসে এইভাবে হোটেলের ঘর থেকে মধুচক্রের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার হতে দেখে পর্যটকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন :‘এই বাংলায় দীপাবলিরও মডেল হওয়া যায়!’ বিতর্কিত মন্তব্য টেনে সোহিনীকে খোঁচা কুণালের
পুলিশ সূত্রে খবর এই মধুচক্রের ঘটনায় ঘৃত ব্যক্তিদের মধ্যে হোটেল গুলির ম্যানেজার তো রয়েইছেন সেই সাথে রয়েছেন হোটেল কর্মী থেকে শুরু করে এজেন্টরাও। পুলিশের দাবি এই মধুচক্রের সাথে যুক্ত খদ্দেরদের মধ্যে রয়েছেন পর্যটকরা। আশ্চর্যের বিষয় এই সমস্ত খদ্দেরদের মধ্যে একজন আবার বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার।
জানা যাচ্ছে এদিনের এই ঘটনায় ধৃত ১৩ জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া এদিন যে ৬ জন যুবতীকে এই হোটেল রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বাড়ি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায়। এদিন এই মধুচক্রের ঘটনায় ঘৃত ১৩ জনের পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া যুবতীদের সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জানা যাচ্ছে এই মধুচক্রের ব্যবসা নতুন নয়। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই এই অসাধু কারবারের রমরমা ব্যবসা চলছিল।