বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোররাতে দূরপাল্লার বাসে ঘুমে আচ্ছন্ন সকল যাত্রী। হঠাৎ ভয়াবহ দুর্ঘটনা (accident)। ঘুম ভাঙলো বিকট শব্দে, যাত্রীবোঝাই করা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলো হুগলির (Hooghly) হরিপালে (Haripal) নয়ানজুলিতে।
বুধবার সকালে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের ইলাহিপুর এলাকায় ডানকুনি আরামবাগ রাজ্য সড়কে। জানা গিয়েছে, সোমবার রায়দিঘি থেকে বাসটি করে পুরুলিয়ার অযোধ্যায় যান প্রায় ৭২ জন যাত্রী। বাসে উপস্থিত ছিল বাচ্চাও। সেখানে পিকনিক, ঘোরাফেরা সেরে বুধবার ভোরে ফিরছিলেন সকলে। ফেরার পথেই ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হরিপাল এলাকায় আচমকা উলটে যায় পর্যটকবাহী বাসটি।
তারপর হুমড়ি খেয়ে যাত্রীরা পড়ল একে অপরের ঘাড়ে। কেউ বা ধাক্কা খেয়ে ঢুকে পড়েছে বাসের সিটের নীচেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাপসী হালদার নামে বছর ছত্রিশের এক মহিলার। আহত হয়েছেন কমবেশি সকল যাত্রীই। তাদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার বিকট শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়ারা। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিপাল ও চণ্ডিতলা থানার পুলিশ। এদিন ভোরেই দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
তবে ঠিক কী কারণে ঘটল এই দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বাসের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার পর বাসেরই এক যাত্রীর জানান, “বাসে ঘুমোচ্ছিলাম। তাই ঠিক কী হয়েছে জানি না। আচমকা বিকট শব্দ পেলাম। আমরা সবাই কাদায় পড়ে গিয়েছিলাম। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলাম।”
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা